কেন্দ্রাপাড়া (ওড়িশা) : ভারী বৃষ্টিতে বন্যা পরিস্থিতি ওড়িশায়। জনসাধারণের অবস্থা দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে কেন্দ্রাপাড়া জেলায়। ব্রাহ্মণী ও কানি নদীর জল ঢুকে গেছে বিভিন্ন গ্রামে। পাট্টামুণ্ডাই ব্লক ও চৌডাকুলাটা এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। শুধু জল বাড়ার কারণেই উদ্বেগ নয়, এই পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের আতঙ্কের কারণ হয়ে উঠেছে কুমির। এনিয়ে গ্রামবাসী একাধিক ভিডিও করেছেন। সেখানে দেখা গেছে, বন্যা কবলিত গ্রামের রাস্তায় সাঁতার কাটছে কুমির। জলে ডুবে যাওয়া শস্য খেতেও ভাসতে দেখা গেছে কুমির।
এই পরিস্থিতিতে গ্রামবাসী এতটাই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন যে, অন্ধকার নামলেই কেউ আর বাড়ির বাইরে পা রাখছেন না। তবে, কুমিরের হামলার কোনও খবর এখনও পর্যন্ত সরকারি সূত্রে পাওয়া যায়নি। তবে, ঝুঁকি এড়ানো যাচ্ছে না। বন বিভাগ সাধারণ মানুষকে সতর্ক করে বলেছে যে, বন্যার জলে না যেতে এবং সতর্ক থাকতে। এর পাশাপাশি গ্রামবাসীকে কুমির ও বিষাক্ত সাপ নিয়ে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। ত্রাণ কাজে নেমেছে জেলা প্রশাসন। ৩০টির বেশি বন্যা কবলিত গ্রামে শুকনো খাবার ও পরিষ্কার পানীয় জল সরবরাহ করা হচ্ছে।
উদ্বেগ আরও বাড়িয়ে, ভারতীয় আবহাওয়া দফতর (IMD) সতর্ক করেছে যে ২৪ জুলাই নাগাদ বঙ্গোপসাগরে একটি নতুন নিম্নচাপ তৈরি হতে পারে। এর ফলে ২৩ জুলাই থেকে ওড়িশার অনেক জায়গায়, বিশেষ করে উপকূলীয় এবং উত্তরাঞ্চলীয় জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। রিপোর্ট অনুযায়ী, বন্যা পরিস্থিতি কেন্দ্রপাড়ায় শিক্ষাব্যবস্থাও ব্যাহত করেছে। জলাবদ্ধ রাস্তার কারণে অনেক শিক্ষক এবং শিক্ষার্থী স্কুলে পৌঁছাতে পারছেন না, যার ফলে অনেক এলাকায় ক্লাস বন্ধ রয়েছে। অপর একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, কেন্দ্রপাড়ার বন্যা পরিস্থিতির কারণে একটি ব্লকের প্রায় ৩০টি গ্রাম বহির্বিশ্বের সঙ্গে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। জানা গেছে যে, বন্যার জল বেশ কয়েকটি নিচু এলাকার বাড়িঘর, স্কুল এবং স্বাস্থ্যকেন্দ্রে প্রবেশ করেছে, যার ফলে পরিবারগুলিকে উঁচু জমিতে আশ্রয় নিতে বা তাদের গবাদি পশু নিয়ে ঘরে থাকতে বাধ্য হয়েছে।
ওই এলাকায় আরও বৃষ্টি হলে, পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে। তাতে সাধারণ মানুষের পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে উঠবে। বন্যার জল ঢুকে যাওয়ায়, ইতিমধ্যেই কুমিরের আতঙ্কে রয়েছেন সেখানকার মানুষ। আগামী দিনে পরিস্থিতি আরও চ্যালেঞ্জের হয়ে উঠতে পারে প্রশাসন ও সাধারণ মানুষের কাছে।