ভুবনেশ্বর: গতকালই ওড়িশার বালেশ্বরে (Balasore Train Accident) ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার পর বেশ খানিকটা সময় কেটেছে। এখনও চলছে উদ্ধারকাজ, লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। ইতিমধ্যেই দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৩৩ হয়েছে, আহতের সংখ্য়া হাজার (৯০০) ছুঁই ছুঁই। দুর্ঘটনার পর গোটা দেশজুড়ে শোকের মহল। এই আবহেই ওড়িশা সরকারের (Odisha Government) তরফে এক দিনের শোক পালনের কথা ঘোষণা করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ক জানিয়ে দিয়েছেন শনিবার (৩ মে) রাজ্য স্তরে কোনও উৎসব পালন করা হবে না, পালিত হবে শোক।


রাজ্যের আই অ্যান্ড পিআর সংস্থার তরফে সোশ্যাল মিডিয়ায় এক ট্যুইটের মাধ্যমে এই ঘোষণা করা হয়। প্রসঙ্গত, ওড়িশা সরকারের পক্ষ থেকে খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। সংশ্লিষ্ট রুটে আটকে রয়েছে একাধিক ট্রেন। এই অবস্থায় যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যের দিকে নজর দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য প্রশাসন। আটকে থাকা ট্রেনে যাত্রীদের নিরাপত্তার বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট জেলাশাসকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রত্যেক যাত্রীর জন্য জল, স্যানিটাইজেশন, খাবারের বন্দোবস্ত করার কথা বলা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী ত্রাণ তহবিল থেকে সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে খরচের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।  


রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব শুক্রবারই জানিয়েছেন তিনি ট্রেনের লাইনচ্যুত হওয়ার কারণ খতিয়ে দেখতে উচ্চস্তরের তদন্তের কথা ঘোষণা করেন। প্রসঙ্গত, তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী দোলা সেন ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন ঘটনাস্থলে যাচ্ছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। ইতিমধ্যেই খড়গপুরের থেকে বেশ কিছু আধিকারিকদের ঘটনাস্থলে উদ্ধারকাজে সাহায্য করার জন্য পাঠিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। দোলা সেন বলেন, 'আমার গোটা ঘটনায় মর্মাহত। আমাদের মুখ্যমন্ত্রী (মমতা বন্দোপাধ্য়ায়) কাল এখানে আসতে পারেন। আমাদের তরফ থেকে আধিকারিকদেরও ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি, ডাক্তার, অ্যাম্বুলেন্সও পাঠিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার।'


প্রত্য়ক্ষদর্শীদের দাবি, বালেশ্বর থেকে ২০ কিলোমিটার দূরের বাহানগা বাজার স্টেশনের কাছে বেঙ্গালুরু-হাওড়া এক্সপ্রেসের দুটো কামরা লাইনচ্য়ুত হয়। শালিমার-চেন্নাই করমণ্ডল এক্সপ্রেস, প্রচণ্ড গতিতে এসে লাইনচ্য়ুত সেই দুটি কামরায় ধাক্কা মারে।  ধাক্কার চোটে করমণ্ডল এক্সপ্রেসের ১৫টা কামরা লাইনচ্য়ুত হয়। সংঘর্ষের তীব্রতায় দুমড়ে মুচড়ে যায় কামরাগুলি। ভেঙে বেরিয়ে আসে লোহার সিঁড়ি। কামরার ভিতরের অংশ কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়।


দুর্ঘটনার পরই একাধিক হেল্পলাইন নম্বর চালু করা হয়েছে। হাওড়ার হেল্পলাইন নম্বর - 033-26382217, খড়গপুরের হেল্পলাইন নম্বর - 8972073925, 9332392339, বালেশ্বরের হেল্পলাইন নম্বর -  8249591559, 7978418322, শালিমারের হেল্পলাইন নম্বর - 9903370746, চেন্নাইয়ের হেল্পলাইন নম্বর - 044-25330952/044-25330953/044-25354771


আরও পড়ুন: বালেশ্বর দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৩৩ !