ভুবনেশ্বর : কেটে গেছে অনেকটা সময়। প্রায় ১৪ ঘণ্টা। প্রায় ৯০০ যাত্রীকে উদ্ধার করা গেছে । যাদের ওড়িশার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে। উদ্ধারকাজ এবার শেষ পর্যায়ে। আর মাত্র একটি বগি থেকে দুর্ঘটনাগ্রস্তদের উদ্ধার করা বাকি আছে। শেষ সেই বগিটি কাটা হচ্ছে। আজ কিছু আগে এমনই জানান ওড়িশার মুখ্যসচিব (Odisha Chief Secretary) প্রদীপ জানা।
তিনি বলেন, "এখন আর মাত্র একটি বগি পড়ে আছে। যেটা মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, ওড়িশা ডিজাস্টার ব়্যাপিড অ্যাকশন ফোর্স ও দমকল বাহিনী এখনও পর্যন্ত একযোগে বগি কাটার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। কেউ বেঁচে থাকলে বা মৃতদেহ উদ্ধারের চেষ্টা করা হচ্ছে।"
তিনি জানান, মৃতদেহগুলি তাঁদের আত্মীয়ের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে। তবে, পরিচয়পত্র দেখার পরই। উদ্ধারকাজে একটু সমস্যা হচ্ছে, কারণ ট্রেনের মারাত্মক অবস্থা হয়েছে। ঘটনাস্থলে রয়েছেন রেল বোর্ডের চেয়ারম্যান, এনডিআরএফ প্রধান ও জেলাশাসক। আহতদের সরকারি ও বেসরকারি উভয় হাসপাতালেই চিকিৎসা চলছে। কিছু কিছু জায়গায় অটোপসিও শুরু হয়েছে।
এদিকে শনিবার সকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলেন রেলমন্ত্রী। রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেন, ' এটা একটা ভয়ঙ্কর মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। রেল, এনডিআরএফ, এসডিআরএফ এবং রাজ্য সরকার একযোগে উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে। সর্বোত্তম স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করা হবে। শুক্রবারই ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করা হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্তের জন্য একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করা হয়েছে।'
করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবার এবং আহতদের জন্য ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছে রেল। শুক্রবার রাতে টুইটে এ কথা জানান রেলমন্ত্রী বৈষ্ণব। তিনি লেখেন , ওড়িশায় মর্মান্তিক এই রেল দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবার পিছু ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করা হয়েছে। গুরুতর আহতদের ২ লক্ষ এবং কম আঘাত পেয়েছেন যাঁরা , তাঁদের ৫০ হাজার টাকা করে সাহায্য দেওয়া হবে।
এদিকে দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রেনের কামরায় এখনও অনেক যাত্রী আটকে রয়েছেন। ফলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা। ট্রেনের দরজা ভেঙে, গ্যাস কাটারের সাহায্যে চলছে উদ্ধারকাজ। নামানো হয়েছে সেনাবাহিনীকে। ড্রোন ও স্নিফার ডগ নিয়েও চলছে তল্লাশি। অক্ষত কামরাগুলিতে স্নিফার ডগ নিয়ে তল্লাশি চালাচ্ছে এনডিআরএফ। হেলিকপ্টারের সাহায্যেও যাত্রীদের উদ্ধার করা হচ্ছে। রাতেই ঘটনাস্থলে গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করে ওড়িশা পুলিশের ফরেন্সিক দল।