বালেশ্বর : "ট্রেন দুর্ঘটনার মূল কারণ জানা গেছে।" জানালেন কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব (Railways Minister Ashwini Vaishnaw)। তিনি বলেন, "গতকালই দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন প্রধানমন্ত্রী। সব মৃতদেহ সরানো হয়েছে। আমাদের লক্ষ্য, বুধবার সকালের মধ্যে পুনরুদ্ধারের কাজ শেষ করা । যাতে এই ট্র্যাকে পুনরায় আবার ট্রেন চলাচল করতে পারে।"
দুর্ঘটনাগ্রস্ত করমণ্ডল এক্সপ্রেসের সমস্ত কামরাই ছিল আধুনিক এবং নিরাপদ এইচএলবি কোচ। দুর্ঘটনার পর এমনই দাবি করেছেন রেলমন্ত্রী। তার পরেও এমন ভয়াবহ দুর্ঘটনায় এত মানুষের মৃত্যু হল কী করে ? প্রশ্ন উঠছে। রেলের অ্যান্টি কলিশন ডিভাইস 'কবচ' নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অধীর চৌধুরী।
"যে ক্ষমতাশালী এলএইচবি কোচ তৈরি করা হচ্ছে এবং সমস্ত পুরানো কোচগুলিকে শীঘ্রই এলএইচবি দিয়ে প্রতিস্থাপন করা হবে। পরিকাঠামোর উন্নতিতে ১ লক্ষ ৩৭ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।" গত বছর বাজেট পেশের দিন সাংবাদিক বৈঠকে জলপাইগুড়ি দোমোহনিতে ট্রেন দুর্ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে এই আশ্বাস দিয়েছিলেন রেলমন্ত্রী। আর বাজেট প্রস্তাবে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ শুনিয়েছিলেন রেলের 'কবচ' প্রকল্পের কথা। তিনি ঘোষণা করেছিলেন, "আত্মনির্ভর ভারত-এর অংশ হিসাবে, ২ হাজার কিলোমিটার নেটওয়ার্ককে 'কবচ'-এর আওতায় আনা হবে। এই প্রযুক্তি নিরাপত্তা ও ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য দেশীয় পদ্ধতিতে তৈরি বিশ্বমানের প্রযুক্তি।"
কিন্তু সব আশ্বাসই সার ! তার পরেও এড়ানো গেল না ভয়াবহ দুর্ঘটনা ! শুক্রবার বালেশ্বরের কাছে বাহানাগা বাজারে লাইনচ্যুত হয় চেন্নাইগামী করমণ্ডল এক্সপ্রেসের ১৫টি বগি। একই সঙ্গে দুর্ঘটনাগ্রস্ত হয় যশবন্তপুর-হাওড়া এক্সপ্রেস এবং একটি মালগাড়ি। এক ঝলকে দেখে বোঝার উপায় নেই, কোন কামরা কোন ট্রেনের ! দুর্ঘটনার অভিঘাতে দুমড়ে মুচড়ে তালগোল পাকিয়ে গিয়েছে করমণ্ডল এক্সপ্রেসের একের পর এক বগি। এমনকী, কম ক্ষতিগ্রস্ত কামরার ছবি দেখলেও শিউরে উঠতে হয়।
যদিও ঘটনাস্থলে গিয়ে রেলমন্ত্রী দাবি করেছেন, দুর্ঘটনাগ্রস্ত করমণ্ডল এক্সপ্রেসে আধুনিক এবং নিরাপদ এইচএলবি কোচ ব্যবহার করা হয়েছিল। তা হলে এমন প্রাণঘাতী দুর্ঘটনা দেখতে হল কেন ? প্রশ্ন উঠছে, রেলমন্ত্রীর LHB কোচের দাবি নিয়ে।