কলকাতা: বালেশ্বর ট্রেন দুর্ঘটনায় লাফিয়ে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা। এখনও পর্যন্ত ২৯৫ জনের মৃত্যু, আহত অন্তত ৬৫০। ওড়িশার বালেশ্বরে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার কারণ ঘিরে ধোঁয়াশা জারি। কী ভাবে দুর্ঘটনার কবলে পড়ল ৩টি ট্রেন, বাড়ছে রহস্য। এখনও দুর্ঘটনাগ্রস্ত কামরা থেকে বের করা হচ্ছে দেহ। মৃত ও আহতর সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধারকার্য চালাচ্ছে সেনা, এনডিআরএফ। গ্যাসকাটার দিয়ে ট্রেনের বগি কেটে চলছে উদ্ধারকাজ। 


এদিকে, অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রকের তরফে নজর রাখা হয়েছে যাতে ওড়িশার কোনও বিমানবন্দর থেকে বিমান ধরার ক্ষেত্রে যাত্রীদের বেশি ভাড়া না দিতে হয়। যাত্রীদের থেকে যাতে কোনওরকম বেশি বিমান ভাড়া না নেওয়া হয়, তাও সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়। 






ওড়িশার বালেশ্বরে ট্রেন দুর্ঘটনায় লাফিয়ে বাড়ছে মৃত ও আহতর সংখ্যা। কলকাতা থেকে পাঠানো হচ্ছে চিকিৎসার সরঞ্জাম। সকালে হাওড়া স্টেশনের ২১ নম্বর প্লাটফর্ম থেকে রওনা হয় বিশেষ ট্রেন। এই ট্রেনেই চিকিৎসা সরঞ্জাম পাঠানো হয়েছে দুর্ঘটনাস্থলে। মেদিনীপুর মেডিক্য়াল কলেজ হাসপাতাল থেকেও ৪০ জনের একটি মেডিক্যাল টিম পাঠানো হয়েছে বালেশ্বরে।


 


কীভাবে ঘটল এই ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা? রেল সূত্রে খবর, বাহানগা বাজারের কাছে ৫টি ট্র্যাকে ছিল ৪টি ট্রেন। প্রথম লাইনটি খালি ছিল। দ্বিতীয় লাইনে ছিল একটি মালগাড়ি। তৃতীয় লাইনে চলছিল করমণ্ডল এক্সপ্রেস। চতুর্থ লাইনে ছুটছিল হাওড়া-যশোবন্তপুর হামসফর এক্সপ্রেস আর ৫ নম্বর ট্র্যাকে ছিল দ্বিতীয় মালগাড়িটি। রেল ও স্থানীয় সূত্রে খবর, প্রথমে দ্বিতীয় লাইনে থাকা মালগাড়ির সঙ্গে তৃতীয় লাইনে থাকা করমণ্ডল এক্সপ্রেসের সংঘর্ষ হয়। করমণ্ডলের ইঞ্জিন উঠে যায় মালগাড়ির ওপর। ট্রেনের পিছনের কামরাগুলি লাইনচ্যুত হয়ে চতুর্থ লাইনে আসা হামসফর এক্সপ্রেসে ধাক্কা মারে। তার ফলে হাওড়াগামী ওই ট্রেনের কয়েকটি কামরা লাইনচ্যুত হয়। করমণ্ডলের বাকি কামরাগুলি লাইনচ্যুত হয়ে গিয়ে পড়ে পঞ্চম ট্র্যাকে। তার জেরে লাইনচ্যুত হয় ওই ট্র্যাকে থাকা মালগাড়ির ২টি কামরা।