বালেশ্বর: বালেশ্বর ট্রেন দুর্ঘটনায় লাফিয়ে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্য়া। এখনও পর্যন্ত ২৯৫ জনের মৃত্যুর খবর সামনে এসেছে। আহত হয়েছেন অন্তত ৬৫০ জন। ভয়াবহ এই ট্রেন দুর্ঘটনার কারণ ঘিরে ধোঁয়াশা জারি রয়েছে এখনও পর্যন্ত (Odisha Train Accident)। ট্রেনে দুর্ঘটনা প্রতিরোধী যন্ত্র বসানো ছিল না বলে অভিযোগ উঠছে। সিগনাল না মেলাতেই কি তিনটি ট্রেন দুর্ঘটনাগ্রস্ত হল, উঠছে সেই প্রশ্নও। উদ্ধারকার্যের গতি শ্লথ হওয়া নিয়েও সামনে আসছে অভিযোগ। এই পরিস্থিতিতে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা (Coromandel Express Accident)। 


ট্রেন দুর্ঘটনার পর শনিবার বালেশ্বর পৌঁছন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দুর্ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের নির্দেশ দেন তিনি। বলেন, "অপরাধ প্রমাণিত হলে কাউকে রেয়াত করা হবে না। এই দুর্ঘটনা থেকে শিক্ষা নেব আমরা।" বালেশ্বরে ট্রেন দুর্ঘটনায় এ দিন আহতদের সঙ্গে দেখাও করেন মোদি। সবরকমের সাহায্যের আশ্বাস দেন। 


এ দিন দুুপুরে বালেশ্বর পৌঁছন মোদি। তার আগে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেখানে পৌঁছন। রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণোর সামনেি গাফিলতির অভিযোগ তোলেন তিনি। বলেন, "আমি যখন রেলমন্ত্রী ছিলাম, দুর্ঘটনা প্রতিরোধী যন্ত্র (Anti Collison Device) তৈরি করেছিলাম। গোয়ায় গিয়ে সব ব্যবস্থা হয়েছিল। তার পর থেকে দুর্ঘটনার সংখ্যা কমেছিল। এটি এমন একটি যন্ত্র, যা ট্রেনে বসানো থাকলে, এক লাইনে যদি দু'টি ট্রেন এসে পড়ে, বা সামনে কিছু পড়ে থাকে, আপনা থেকেই থেমে যাবে ট্রেন। কিছু গড়বড় দেখলে সতর্কবার্তা যাবে।"


আরও পড়ুন: ACD ছিল না কেন, ট্রেন দুর্ঘটনায় হতাহতের সংখ্য়া ঠিক কত? রেলমন্ত্রীর সঙ্গে মতবিরোধ মমতার


রেলমন্ত্রীর উদ্দেশে মমতা বলেন, "আপনি বিষয়টি দেখুন। আমার কাছে খবর আছে, দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রেনে দুর্ঘটনা প্রতিরোধী যন্ত্র ছিল না। যা ঘটে গিয়েছে, ঘটে গিয়েছে। এতগুলি প্রাণ তো আর ফিরবে না! কিছু বলার ভাষা নেই। কিন্তু এর মধ্যে নিশ্চয়ই কিছু আছে। ভাল করে সবদিক খতিয়ে দেখতে হবে। এতগুলি মানুষের প্রাণ চলে গিয়েছে।" 


এই দুর্ঘটনা নিয়ে বিরোধীরা একযোগে সরব হয়েছে নরেন্দ্র মোদি সরকারের বিরুদ্ধে। বন্দেভারত, বুলেট ট্রেন নিয়ে মাতামাতি না করে, বর্তমান পরিকাঠামোর উপর জোর দেওয়া উচিত বলে মত তাদের। একযোগে রেলমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিও উঠছে। যদিও এ নিয়ে কেন্দ্রের তরফে এ নিয়ে কোনও উচ্চবাচ্য করা হয়নি এখনও পর্যন্ত।