কলকাতা : মে মাস মাসেই প্রবল ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস বঙ্গোপসাগরের উপকূলে। বারবার এই মাসেই বিপর্যস্ত হয়েছে ওড়িশা, বাংলা ও বাংলাদেশের উপকূলীয় জেলাগুলি। তাই এই সময়টা সাইক্লোনের জন্য একপ্রকার তৈরিই থাকে দেশের পূর্বের রাজ্যগুলি। এবার সাইক্লোনের চোখরাঙানি থাকলেও, এখনও পর্যন্ত তার ভূত-ভবিষ্যৎ সম্পর্কে বলা যাচ্ছে না। তবে সোমবার সন্ধেয় উথালপাথাল হল ওড়িশার উপকূলীয় এলাকা। বিশেষত পুরী সংলগ্ন খুরদা রোডে সন্ধে নাগাদ প্রবল ঝড়বৃষ্টি হয়। ঝড়ের গতি ছিল এতটাই যে উপরে যায় গাছ। ভেঙে পড়ে বিদ্যুতের স্তম্ভ। প্রবল বৃষ্টির জেরে রেল চলাচল বিপর্যস্ত হয়।
ট্রেন পরিষেবা ব্যাহত হওয়ার পর, রেলওয়ের তরফে এডিআরএম খুরদা ডিভিশন, প্রদীপ কুমার বেহরা জানান, প্রায় সাড়ে সাতটা নাগাদ প্রবল বাতাস বইতে শুরু করে। নামে প্রবল বৃষ্টি। বৈদ্যুতিক টাওয়ারটি ভেঙে পড়ে। এর ফলে, আপ এবং ডাউন পরিষেবা ব্যাহত হয়। রেলওয়ের আশ্বার, শীঘ্রই সমস্ত লাইনে বাধা সরিয়ে, পরিষেবা স্বাভাবিক করা হবে।
এবার আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, বর্ষা ঢুকবে আগেভাগেই। অনুমান ভারতের মূল ভূখণ্ডে আগামী ২৭ মে বর্ষা ঢুকবে ভারতের মূল ভূখণ্ড কেরলে। এর আগে ভারতের মৌসম ভবন জানিয়েছিল, আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে বর্ষা ঢুকবে ১৩ই মে। তবে এরই মধ্যে সাইক্লোনও দানা বাঁধবে কিনা, বলা যাচ্ছে না।
আগামী কয়েকদিন বজ্রবিদ্যুৎ সহ ঝড় বৃষ্টি হতে পারে অন্ধ্রপ্রদেশ , অসম, মেঘালয়, ছত্তীসগঢ়, রাজস্থান, হরিয়ানা, চন্ডীগড়, দিল্লী, জম্মু-কাশ্মীর, লাদাখ, কেরল, মাহে, মধ্য মহারাষ্ট্র, মারাঠাওয়াড়া, পাঞ্জাব, তেলঙ্গানা , মধ্যপ্রদেশ এবং বাংলাতে। এই রাজ্যগুলিতে প্রতি ঘন্টায় ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। সঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির আশঙ্কা। হালকা ঝোড়ো হাওয়া এবং বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকবে মধ্যপ্রদেশ, গুজরাত, হিমাচল প্রদেশ, কর্ণাটক, ঝাড়খন্ড, তামিলনাড়ু, পদুচেরি আর বিদর্ভতে।
পাশাপাশি তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা রয়েছে বিহার, বাংলা এবং সিকিমে। গরম এবং অস্বস্তিকার আবহাওয়া থাকবে ঝাড়খন্ড , কেরল, মাহে, তামিলনাড়ু, পদুচেরি রাজ্যে।