নয়াদিল্লি: জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন ওমর আবদুল্লা। বিশেষ মর্যাদা খর্বের পর এবছরই প্রথম বিধানসভা নির্বাচন হয়েছে উপত্যকায়, তাতে সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসেবে উঠে এসেছে তাঁর দল ন্যাশনাল কনফারেন্স। সেই মতো বুধবার লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা ওমরকে শপথবাক্য পাঠ করান। নির্বাচনে একসঙ্গে লড়াই করলেও, ওমরের  সরকারে শামিল হচ্ছে না কংগ্রেস। মাত্র ছয়টি আসনে জয়ী কংগ্রেস থেকে মাত্র একজনকে মন্ত্রী করতে রাজি হয়েছিলেন ওমর। কিন্তু সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে কংগ্রেস। (Omar Abdullah)


এদিন কেন্দ্রশাসিত জম্মু ও কাশ্মীরের প্রথম মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন ওমর। শ্রীনগরের শের-ই-কাশ্মীর ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স সেন্টারে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের আয়োজন হয়। এই শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের ঠিক আগেই ওমর সরকারে শামিল না হওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় কংগ্রেস। মুখ্যমন্ত্রী ওমরকে নিয়ে উপত্যকায় মোট ন'জন মন্ত্রী এবার শপথ নিলেন। এর আগে, ২০০৯ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত তদানীন্তন পূর্ণাঙ্গ রাজ্য জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন ওমর। (Jammu And Kashmir)


তবে সরকারে শামিল না হলেও, এদিন ওমরের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দেন কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দলের সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়গে, রাহুল গাঁধী, প্রিয়ঙ্কা গাঁধী। I.N.D.I.A শিবিরের শরিক, সমাজবাদী পার্টির অখিলেশ যাদব, DMK-র কে কানিমোঝি, ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টির (শরদ পওয়ার) সুপ্রিয়া সুলে, আম আদমি পার্টির সঞ্জয় সিংব এবং PDP-র মেহবুবা মুফতিও উপস্থিত ছিলেন শ্রীনগরে।



এদিন ওমরের সঙ্গে উপত্যকার মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন সতীশ শর্মা, সাকিনা ইতু, জাভেদ দর, সুরেন্দ্র চৌধুরী, জাভেদ রানা। সুরেন্দ্র ওমরের ডেপুটি হিসেবেও দায়িত্ব গ্রহণ করলেন। বিশেষ মর্যাদা খর্বের প্রথম এই প্রথম উপত্যকার দায়িত্ব গ্রহণ করলেন ওমর। নরেন্দ্র মোদির সরকারের কাছ থেকে তিনি উপত্যকার হৃত মর্যাদা উদ্ধার করতে পারেন কি না, সেদিকে তাকিয়ে সেখানকার মানুষ। উপত্যকার জন্য ফের রাজ্যের মর্যাদা ছিনিয়ে আনার জন্য এযাবৎ সরব ছিল কংগ্রেস। কিন্তু সেই কাজ সহজ হবে না বলে মত ওমরের। ধীরেসুস্থে এগোতে চান তিনি। 


এবারের জম্মু ও কাশ্মীর বিধানসভা নির্বাচনে একসঙ্গে লড়াই করেছিল ন্যাশনাল কনফারেন্স এবং কংগ্রেস। উপত্যকার ৯০টি বিধানসভা আসনের মধ্যে ওমরের দল ৪২টিতে জয়ী হয়। ৩২টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে কংগ্রেস জয়ী হয় ছ'টি আসনে। নির্বাচনের ফলাফল সামনে আসার পর দুই দলের মধ্যে মতানৈক্যও দেখা দেয় বলে জানা যায়। কংগ্রেসের ৩২টি আসনে প্রার্থী দিলে, একটি ছাড়া সবক'টিতে তাঁর দলই জয়ী হতো বলে জানান। কংগ্রেসকে আত্মসমীক্ষা করার পরামর্শও দেন তিনি। এর পর কংগ্রেস থেকে একজনকে তিনি মন্ত্রী করতে চাইলেও, হাতশিবির সেই প্রস্তাব গ্রহণ করেনি।