নয়া দিল্লি: মহারাষ্ট্র-সহ দেশের একাধিক রাজ্যে যেমন কর্নাটক, কেরলে চোখের পলকে ওমিক্রন সংক্রমণ বাড়ছে। শনিবার ভারতের মোট ওমিক্রন সংখ্যা ১৪৩। কর্নাটক ও কেরলে ছটি এবং চারটি নতুন করে ওমিক্রনে আক্রান্তের খবর এসেছে। মহারাষ্ট্রে আরও আট জন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে করোনার নয়া প্রজাতিতে।
সংবাদসংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, শনিবার তেলেঙ্গানায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে ১২ জন। এর ফলে ওমিক্রন মামলার সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২০। কেন্দ্রের তরফে জানান হয়েছে ১১টি রাজ্যে এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ওমিক্রন ধরা পড়েছে। এদের মধ্যে শীর্ষে মহারাষ্ট্র (৪৮ )। এরপর দিল্লি (২২), রাজস্থান (১৭) এবং কর্ণাটক (১৪), তেলেঙ্গানা (২০), গুজরাট (৭), কেরালা (১১), অন্ধ্র প্রদেশ (১), চণ্ডীগড় (১), তামিলনাড়ু (১) এবং পশ্চিমবঙ্গ (১)।
কর্ণাটকের(Karnataka) নতুন ছয় আক্রান্তের মধ্যে একজন ইংল্যান্ড থেকে ফিরেছেন। বাকি পাঁচজনের সন্ধান পাওয়া গেছে দক্ষিণ কন্নড় জেলায়। অন্যদিকে কেরলে তিরুঅনন্তপুরম থেকে নতুন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত দুই জনের সন্ধান পাওয়া যায়। তাদের বয়স ১৭ ও ৪৪ বছর। একজনকে পাওয়া গেছে মালাপ্পুরম থেকে । বয়স ৩৭ বছর। অপরজন ত্রিশূরের বাসিন্দা। এর পাশাপাশি মহারাষ্ট্রের এক দম্পতি ও তাদের ১৩ বছরের মেয়ে নতুন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত। উগান্ডা থেকে পশ্চিম মহারাষ্ট্রের সাতারায় ফিরেছেন তাঁরা। ওই দম্পতির ৫ বছরের অপর এক মেয়েও করোনায় আক্রান্ত। তবে, সে নতুন ভ্যারিয়েন্টে সংক্রমিত নয়। এদিকে ভারতে টিকাকরণকে হাতিয়ার করেই লড়াই চলছে ওমিক্রন রোখার।
এদিকে দেশের একাধিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন, হয়ত অতটা তীব্র হবে না, তবে এর সংক্রমণ হার চিন্তার কারণ হয়ে উঠতে পারে। এই পরিস্থিতিতে তাঁদের সতর্কবার্তা, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় দেশবাসী যেমন সচেতন ছিল, ঠিক তেমনই সতর্ক থাকতে হবে। পিএসআরআই হাসপাতালের চিকিৎসক জি সি খিলানি সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে বলেন, দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় আমরা যেমন সতর্ক ছিলাম, সেরকম সতর্ক থাকতে হবে। ভ্যাকসিন এই সংক্রমণের বিরুদ্ধে যে সুরক্ষা দিয়েছিল, সময়ের সাথে সাথে তা হ্রাস পাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে যাঁদের কো-মর্বিডিটি রয়েছে, তাঁদের জন্য বুস্টার ডোজের নীতি ঘোষণা করা উচিত।