গড়িয়া: ১১০ নম্বর ওয়ার্ডে গড়িয়ার ব্রিজি এটি নস্কর হাইস্কুলে সিপিএম (CPIM) এজেন্টকে বসতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ তৃণমূলের (tmc)  বিরুদ্ধে। পরে সিপিএম প্রার্থী তনুশ্রী মণ্ডল এসে এজেন্টকে বুথে বসিয়ে দিয়ে যান। তৃণমূলের প্রতিক্রিয়া মেলেনি এই ঘটনায়। 


কলকাতা পুরসভার ১৬টি বরোর ১৪৪টি ওয়ার্ডে আজ ভোটগ্রহণ। সকাল ৭টা থেকে শুরু হয়ে গিয়েছে ভোটদান পর্ব। চলবে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। কলকাতাজুড়ে আটোসাঁটো নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ভোটের নিরাপত্তা নিয়ে প্রতি ঘণ্টায় রিপোর্ট দেওয়ার জন্য DGP ও CP-কে নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। রাজ্য নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, মোট ৪ হাজার ৯৫৯টি বুথের মধ্যে ১ হাজার ১৩৯টি বুথ উত্তেজনাপ্রবণ। স্পর্শকাতর বুথের সংখ্যা ৭৮৬। এর মধ্যে চিনাপাড়া, পার্কস্ট্রিট, ধাপা ও লাগোয়া এলাকা নিয়ে গঠিত ৭ নম্বর বরোয়, সবচেয়ে বেশি, ২৫০টি  উত্তেজনাপ্রবণ বুথ রয়েছে। অন্যদিকে সবচেয়ে কম উত্তেজনাপ্রবণ বুথ রয়েছে বেহালা, তারাতলা-সহ আশেপাশের এলাকা নিয়ে গঠিত ১৩ নম্বর বরোয়। সেখানে উত্তেজনাপ্রবণ বুথের সংখ্যা ২২।


এদিকে ভোটদানের শুরু থেকেই একের পর এক অভিযোগ উঠে আসছে বিভিন্ন প্রান্ত থেকে। বেলেঘাটায় ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডে খন্না হাইস্কুলে বুথের সিসি ক্যামেরা (CCTV Camera) ঢেকে রাখার অভিযোগ বামেদের। নির্বাচন কমিশনের (State Election Commission) দাবি, সিসি ক্যামেরা স্কুলের, তাই ঢেকে দেওয়া হয়েছে। 


পুরভোটের নিরাপত্তায় হাইকোর্টের নির্দেশ না মানার অভিযোগ। কলকাতা পুরসভার ৭৯ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী দীপেন্দ্রমণি ত্রিবেদীর অভিযোগ, তারাতলা সংলগ্ন গড়াগাছা এলাকার অধিকাংশ বুথেই নেই সিসি ক্যামেরা। নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন বিজেপি প্রার্থীর। 


৬৮ নম্বর ওয়ার্ডের বালিগঞ্জ প্লেসে বোমাবাজির অভিযোগ উঠেছে! প্রয়াত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের বোন ও নির্দল প্রার্থী তনিমা চট্টোপাধ্যায়ের অনুগামীদের অভিযোগ, শুক্রবার রাতে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা পরপর ২টি বোমা ছোড়ে। যদিও, এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ৬৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী। সুদর্শনা মুখোপাধ্যায়ের দাবি, যাঁরা এসব কথা বলছেন, তাঁরা নিজেরাই বোমাবাজি করে মিথ্যে অভিযোগ করছেন। 


আরও পড়ুন: পুরভোটের প্রাক্কালে শহরে বিধ্বংসী আগুন, জোড়াসাঁকোয় পুড়ল শাড়ির গুদাম