৯ দিনে পড়ল অপারেশন আখাল। জম্মু ও কাশ্মীরের কুলগামে সন্ত্রাসীবাদীদের সঙ্গে সংঘর্ষে শহিদ হলেন দুই সেনা ।  রাতভর গুলিবর্ষণে রক্ত ঝরল উপত্যকায়। ফের রক্ত ঝরল কাশ্মীরে। টানা গুলি বিনিময়ে আহত হয়েছেন  আরও দুই নিরাপত্তা কর্মী আহত হয়েছেন। এই নিয়ে  অপারেশন আখাল অভিযানে আহতের সংখ্যা ১১ জনে পৌঁছেছে। এদের মধ্যে ৪ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।                       

সারা রাত ধরে এলাকায় বিকট বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। টানা চলে গুলিবর্ষণ। এখনও পর্যন্ত, এই অভিযানে একজন সন্ত্রাসবাদীর  মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছে। এছাড়া আরও কেউ মারা গিয়েছে কিনা, তা নিশ্চিত নয়। ভারতীয় সেনাবাহিনীর  মোট দুজন শহিদ হয়েছেন । সূত্রের খবর, ঘন বনে গা ঢাকা দিয়ে রয়েছে একাধিক সন্ত্রাসবাদী। সেনাবাহিনীর সন্দেহ, কমপক্ষে তিনজন বা তারও বেশি সন্ত্রাসবাদী এখনও লুকিয়ে রয়েছে ঘন জঙ্গলে। 

গত  ১ অগাস্ট নিরাপত্তা বাহিনী সন্ত্রাসবাদীদের উপস্থিতি সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট তথ্য পেয়ে অভিযান শুরু করে। অপারেশন সিঁদুর, অপারেশন মহাদেবের সাফল্যের পর সেনাবাহিনীর এই অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছে অপারেশন আখাল। উপত্যকাকে সন্ত্রাসবাদীমুক্ত করতে বদ্ধপরিকর সেনা।  

জম্মু ও কাশ্মীরের পুলিশকর্তা নলীন প্রভাত এবং সেনাবাহিনীর উত্তরাঞ্চলীয় কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল প্রতীক শর্মা এই অভিযানের দায়িত্বে রয়েছেন।  সন্ত্রাসবাদীজের খুঁজে বের করার জন্য ড্রোন এবং হেলিকপ্টার ব্যবহার করা হচ্ছে। অন্যদিকে প্যারা কমান্ডোরাও এই অভিযানে সক্রিয়ভাবে সহযোগিতা করছে ।

গত ২৮ জুলাই পহেলগাঁও হামলার প্রতিশোধ নেয় ভারতীয় সেনা।  'অপারেশন মহাদেব'।  শ্রীনগরে রুদ্ধশ্বাস অপারেশন চালিয়ে তিন জঙ্গিকে নিকেশ করে সেনা। নিহত জঙ্গিদের ডেরা থেকে আমেরিকায় তৈরি কার্বাইন, একে-ফর্টি সেভেন রাইফেল, ১৭টা রাইফেল গ্রেনেড-সহ বহু অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করা হয়।  তারা পহেলগাঁও হামলায় যুক্ত ছিল বলে জানানো হয় সেনার তরফে, নিশ্চিত করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকও। পাহাড়ের কোলে গভীর জঙ্গলে লুকিয়ে বসেছিল জঙ্গিরা। 'অপারেশন মহাদেব'-এ তাদের নিকেশ করে পহেলগাঁও হামলার প্রতিশোধ নেয় ভারতীয় সেনা। প্রায় পনেরো দিন ধরে ওঁত পেতে থেকে, যেভাবে এই অপারেশন চালানো হয়েছে, তা গায়ে কাঁটা দেওয়ার মতো! তারপর ১ অগাস্ট থেকে শুরু হয়েছে অপারেশন আখাল। ৯ দিন ধরে চলছে লড়াই। রাত দিন এক করে লড়ে চলেছে ভারতীয় সেনা।