Operation Sindoor: পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার ১৫ দিন পর বদলা নিয়েছে ভারত। ২৫ মিনিটের নিখুঁত অপারেশনে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ৯টি জঙ্গি ঘাঁটি। তবে ভারতের এই প্রত্যাঘাতের পর থেকেই অশান্ত নিয়ন্ত্রণরেখা। এলওসি এবং আন্তর্জাতিক সীমানা বরাবর একাধিক জায়গায় পাকিস্তান নির্বিচারে গুলিবৃষ্টি করছে। চলছে গোলাবারুদ এবং বোমা নিক্ষেপ। পরপর ২ দিন জম্মু ও কাশ্মীরের কুপওয়াড়া জেলায় পাকিস্তানি সেনা সীমান্তের ওপার থেকে গুলি চালাচ্ছে। বৃহস্পতিবার ভোর রাতেও কুপওয়াড়ার কারনাহ এলাকায় পাকিস্তানের তরফে গুলি চালানো হয়েছে। অবাধে চলেছে গোলাবারুদ, বোমা বর্ষণ। বিনা প্ররোচনায় বারংবার বিভিন্ন সীমান্ত এলাকায় গুলি চালাচ্ছে পাকিস্তানি সেনা। অন্যান্য বারের মতোই এই বারেও যোগ্য জবাব দিয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। এখনও পর্যন্ত এই গুলির লড়াইয়ে কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। কুপওয়াড়া জেলার কারনাহ এলাকায় বেশিরভাগ সাধারণ মানুষকেই নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার মধ্য রাতে পাকিস্তানে প্রত্যাঘাত করেছে ভারত। ১৯৭১ সালের যুদ্ধের পর এই প্রথমবার স্থল, নৌ এবং বায়ুসেনা একত্রে প্রত্যাঘাত করেছে। পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মোট ৯টি জঙ্গি ঘাঁটি ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। লস্কর-ই-তৈবা, জইশ-ই-মহম্মদ, হজবুল মুজাহিদিনের একাধিক 'মরকজ' ছিল এই তালিকায়। জইশ প্রধান মাসুদ আজহারের পরিবারের ১০ সদস্য এবং মাসুদের ৪ সহযোগীর মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর জখম মাসুদের ভাই, ইন্ডিয়ার অন্যতম মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গি। ২৫ মিনিটের নিখুঁত অপারেশনেই এসেছে সাফল্য। গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ের বৈসারন উপত্যকায় পর্যটকদের উপর নির্বিচারে গুলি চালিয়েছিল জঙ্গিরা। পর্যটকদের ধর্মীয় পরিচয় জেনে, বেছে বেছে হিন্দু পুরুষদের টার্গেট করে গুলি করে খুন করে জঙ্গিরা। মোট ২৬ জনের মৃত্যু হয় এই নারকীয় হত্যালীলায়। এরপর থেকেই ফুঁসছিল গোটা দেশ। ক্ষোভের মাঝে মাথাচাড়া দিচ্ছিল একটাই প্রশ্ন, কবে হবে প্রত্যাঘাত? অবশেষে পহেলগাঁও হামলার যোগ্য জবাব দিয়েছে ভারতে।
ভারতের এই প্রত্যাঘাতের পর থেকেই অশান্ত রয়েছে নিয়ন্ত্রণরেখা এবং আন্তর্জাতিক সীমানা বরাবর একাধিক জায়গায়। পুঞ্চ, রাজৌরি, কুপওয়াড়া-সহ একাধিক সেক্টর থেকে খবর এসেছে যে, পাকিস্তানের তরফে অবাধে গুলিবৃষ্টি করা হচ্ছে। নির্বিচারে গোলাবারুদ বর্ষণ করছে পাকিস্তান। তবে সব সেক্টরেই যোগ্য জবাব দিয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, প্রত্যাঘাতের আগেও পহেলগাঁও হামলার পর থেকেই নিয়ন্ত্রণরেখা এবং আন্তর্জাতিক সীমান্ত বরাবর একাধিক সেক্টরে পাকিস্তানি সেনার অসংখ্য চৌকি থেকে বিনা প্ররোচনায় ভারতের দিকে গুলি চালানো হয়েছে।