Ceasefire Violation: পহেলগাঁও হামলার পর থেকেই অশান্ত হয়ে রয়েছে নিয়ন্ত্রণ রেখা এবং আন্তর্জাতিক সীমানা। আর ভারতের প্রত্যাঘাত অর্থাৎ 'অপারেশন সিঁদুর'- এর পর থেকে সীমান্ত বরাবর একাধিক জায়গায় অশান্তি আরও বেড়েছে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, কুপওয়াড়া, বারামুলা, উরি এবং আখনুর - জম্মু ও কাশ্মীরে লাইন অফ কন্ট্রোল অর্থাৎ নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর এইসব সেক্টর এবং অন্যান্য আরও অনেক জায়গায় লাগাতার ১৪ দিন ধরে বিনা প্ররোচনায় গুলি চালাচ্ছে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী। অবাধে চলছে গুলিবৃষ্টি। নাগাড়ে চলছে গোলাবারুদ বর্ষণ। পুঞ্চ সেক্টরে সম্প্রতি পাক গোলায় শহিদ হয়েছেন ভারতীয় সেনার ল্যান্স নায়েক দীনেশ কুমার। সম্প্রতি সেনাবাহিনীর তরফে বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, ৭ তারিখ মধ্যরাত ও ৮ তারিখ ভোররাতে নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর কুপওয়ারা, বারামুলা, উরি, আখনুর এলাকায় পাকিস্তানি সেনার বিভিন্ন চৌকি থেকে বিনা প্ররোচনায় গুলি চালিয়েছে। ছোটখাটো অস্ত্র থেকে গুলি চালানো হয়েছে। এছাড়াও ব্যবহার হয়েছে আর্টিলারি বন্দুক। পাকিস্তানি সেনার যাবতীয় হামলার যোগ্য জবাব দিয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনীও। 

১১ দিন পর উরি, ১২ দিন পর পুলওয়ামা, ১৫ দিন পর পহেলগাঁও হামলার প্রত্যাঘাত করল ভারত। ২৫ মিনিটের অভিযানে ২৪টি মিসাইল ছোড়া হয়েছে। ৯টি জঙ্গি ঘাঁটি নিকেষ করা হয়েছে। অনুমান প্রায় ৭০ জন জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছে অন্তত ৬০ জন। মঙ্গলবার রাত ১টা ৫ মিনিটে শুরু হয় অপারেশন সিঁদুর অভিযান। গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ের কাছে বৈসারন উপত্যকায় নারকীয় হত্যালীলা চালিয়েছে জঙ্গিরা। 'মিনি সুইৎজারল্যান্ড' নামে পরিচিত পর্যটকদের 'মাস্ট ভিজিট' এই জায়গায় সাধারণ পর্যটকদের উপর অবাধে গুলি চালিয়েছে জঙ্গিরা। বেছে বেছে হিন্দু পুরুষদের গুলি করে মারা হয়েছে। পর্যটকদের বাঁচাতে গিয়ে জঙ্গিদের গুলিতে ঝাঁঝরা হয়েছেন এক স্থানীয় টাট্টু-ঘোড়ার চালকও। পহেলগাঁওয়ের জঙ্গি হামলার পর থেকেই ক্ষোভে ফুঁসছিল গোটা দেশে। কবে হবে প্রত্যাঘাত? প্রশ্ন উঠছিল সব মহলে। অবশেষে জবাব দিল ভারত। বদলা নিল পহেলগাঁও হামলার। যে প্রত্যাঘাতের অপেক্ষা গোটা দেশ করছিল, অবশেষে সেই প্রত্যাঘাত হয়েছে। 

অপারেশন সিঁদুরে মৃত্যু হয়েছে জইশ প্রধান মাসুদ আজহারের সহযোগী ও পরিবারের সদস্য় সহ ১৪ জনের। কিন্তু তাতে আফশোস বা হতাশা, কোনওটাই নেই বলে প্রতিক্রিয়াও দিয়েছেন জইশ প্রধান মাসুদ আজহার। ভারতের প্রত্যাঘাতের পর আতঙ্কে পাকিস্তান। ইসলামাবাদে বাড়ি থেকে বেরোতে নিষেধ, মাইকে প্রচার পাক প্রশাসনের। সন্ধে ৭-ভোর ৫ রাওয়ালপিন্ডিতে ব্ল্যাকআউট। পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত বহাল থাকবে নির্দেশিকা।