নয়াদিল্লি : মধ্যপ্রদেশের মন্ত্রী বিজয় শাহর করা ক্ষমাপ্রার্থনা প্রত্যাখ্যান করল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। শুধু তা-ই নয়, আদালত মন্ত্রীকে তিরস্কার করে তাঁর ক্ষমা চাওয়াকে "কুমিরের কান্না" বলে অভিহিত করেছে এবং উল্লেখ করেছে যে, তাঁর মন্তব্য "সম্পূর্ণ অযৌক্তিক"। কর্নেল সোফিয়া কুরেশিকে নিয়ে কুরুচিকর মন্তব্য করেছিলেন মধ্যপ্রদেশের ওই মন্ত্রী। 'অপারেশন সিঁদুর' নিয়ে ভারতের নিরাপত্তাবাহিনীর তরফে হওয়া যৌথ সাংবাদিক বৈঠকে ছিলেন সোফিয়া কুরেশি।
মধ্যপ্রদেশের মন্ত্রীর বিরুদ্ধে দায়ের করা এফআইআর তদন্তের জন্য সুপ্রিম কোর্ট তিনজন সিনিয়র আইপিএস অফিসারের সমন্বয়ে একটি বিশেষ তদন্তকারী দল (এসআইটি) গঠন করেছে। যেখানে উল্লেখ করা হয়েছে যে, তাঁদের মধ্যে কমপক্ষে একজন মহিলা থাকতে হবে। বিচারপতি সূর্য কান্ত বলেন, "আপনি (মধ্যপ্রদেশের মন্ত্রী) যে ধরনের বাজে মন্তব্য করেছেন, একেবারেই অযৌক্তিকভাবে। কোন জিনিসটা আপনাকে আন্তরিক প্রচেষ্টা করতে বাধা দিয়েছে ? আমরা আপনার ক্ষমা চাই না। আমরা জানি কীভাবে আইন অনুযায়ী এর মোকাবিলা করতে হয়।"
বিচারপতি সূর্য কান্ত ও বিচারপতি এন কোটিশ্বর সিংয়ের বেঞ্চ আরও বলেছে, "আপনার ক্ষমা চাওয়ার দরকার নেই। আপনি একজন জনপ্রতিনিধি, একজন অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদ। আপনার কথার গুরুত্ব বিবেচনা করা উচিত। অশ্লীল ভাষা ব্যবহার করার শেষ প্রান্তে ছিলেন, থামিয়ে দিলেছিলেন। আপনি অশ্লীল ভাষা ব্যবহার করতে যাচ্ছিলেন, কোনও শব্দ খুঁজে না পাওয়ায় থেমে যান।"
পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পর পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরে যে Operation Sindoor অভিযান চালায় ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী, তার মুখ হয়ে ওঠেন কর্নেল সোফিয়া কুরেশি। কোথায়, কীভাবে জঙ্গিঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, তা গোটা দেশের সামনে তুলে ধরেন তিনি। সেই কর্নেল সোফিয়াকে নিয়েই সম্প্রতি বিতর্কিত মন্তব্য করে বসেন মধ্যপ্রদেশের জনজাতি কল্যাণমন্ত্রী বিজয় শাহ। ইন্দৌরের রামকুণ্ড গ্রামে আয়োজিত একটি সভায় তাঁকে বলতে শোনা যায়, "ওরা (পহেলগাঁওয়ের জঙ্গিরা) আমাদের বোনেদের সিঁদুর মুছেছিল। আমরা ওদেরই বোনকে পাঠিয়ে বদলা নিয়েছি, ওদের ধ্বংস করে দিয়েছি (অ্যায়সি কি ত্যায়সি কর দিয়া)। ওদের বোনকে পাঠিয়েই ওদের ধ্বংস করে দিয়েছি।"