বেঙ্গালুরু : প্রথম বৈঠক শেষে কংগ্রেস-আপের মধ্যে টানাপোড়েনের জেরে বিরোধী ঐক্য নিয়ে একটা প্রশ্ন রয়েই গেছে অনেকের মনে। কিন্তু, ২০২৪-এর আগে বিরোধী শক্তি যে আরও শক্তিশালী হতে চলেছে, তার ইঙ্গিত মিলল আরও আট রাজনৈতিক দলের সমর্থনের হাত বাড়ির দেওয়ার খবরে। অন্তত তেমনই খবর সূত্রের। কংগ্রেসের আহ্বানে কর্ণাটকের বেঙ্গালুরুতে বসতে চলেছে বিরোধীদের দ্বিতীয় বৈঠক। সেই বৈঠকে যোগ দিতে পারেন ২৪টি বিরোধী দলের নেতৃত্ব। আগামী ১৭ ও ১৮ জুলাই রয়েছে বৈঠক।


একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর, গত মাসে নীতিশ কুমারের তত্ত্বাবধানে বিহারের পটনায় বিরোধীদের মেগা বৈঠকের পর, ২৪টি রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতৃত্ব দ্বিতীয় বৈঠকেও যোগ দিতে চলেছেন। কর্ণাটকের বেঙ্গালুরুতে যে বৈঠকের আয়োজন করা হচ্ছে। সেখানে আরও কয়েকটি নতুন দল যোগ দিতে পারে। সেই তালিকায় রয়েছে- এমডিএমকে, কেডিএমকে, ভিসিকে, আরএসপি, অল ইন্ডিয়া ফরওয়ার্ড ব্লক, আইইউএমএলস কেরল কংগ্রেস (জোশেফ) ও কেরল কংগ্রেস (মণি)। বৈঠকে যোগ দেবেন কংগ্রেসের সংসদীয় দলের চেয়ারপার্সন সনিয়া গাঁধীও। কেডিএমকে ও এমডিএমকে ২০১৪-এর লোকসভা ভোটে বিজেপির শরিক ছিল।


বিরোধীদের পরবর্তী ঐক্য বৈঠকে যোগ দেওয়ার জন্য শীর্ষ রাজনৈতিক দলগুলিকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন কংগ্রেস সভাপতি তথা রাজ্যসভায় বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে। নীতিশের আহ্বানে গত ২৩ জুন পটনায় বিরোধীদের যে বৈঠক হয়েছিল, সেই বৈঠকের কথা মনে করিয়ে দিয়ে চিঠি দিয়েছেন খাড়গে। চিঠিতে তিনি লিখেছেন, পটনার বৈঠকে বিশাল সাফল্য মিলেছিল। কারণ, আমরা একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু নিয়ে আলোচনা করতে পেরেছিলাম। তার মধ্যে রয়েছে- আমাদের গণতান্ত্রিক রাজনীতি যে হুমকির মুখে পড়েছে সেই বিষয়টি। যার পর আমরা অলিখিতভাবে পরবর্তী সাধারণ নির্বাচনে জোটবদ্ধ হয়ে লড়ার চুক্তি করেছি। 


কংগ্রেস সভাপতি আরও স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন, আমরা জুলাইয়ে দ্বিতীয় বৈঠকে মুখোমুখি হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেছেন, আমি মনে করি, এই আলোচনা চালিয়ে নিয়ে যাওয়া উচিত। যে গতি আমরা নিয়ে এসেছি তা আরও বাড়াতে হবে। আমাদের দেশ এখন যে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে তার সমাধান করার জন্য আমাদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে।


এরপরই তিনি চিঠিতে বিভিন্ন দলের নেতৃত্বকে আমন্ত্রণ জানান, বেঙ্গালুরুতে আগামী ১৭ জুলাই বৈঠকে উপস্থিত থাকার জন্য আপনাদের আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। বৈঠক শেষে সন্ধে ৬টা নাগাদ ডিনারের আয়োজন করা হয়েছে। পরের দিন ১৮ তারিখেও বৈঠক হবে। বেলা ১১টা থেকে বৈঠক শুরু হবে। বেঙ্গালুরুতে আপনাদের সঙ্গে দেখা করার অপেক্ষায় রইলাম।