বিজেন্দ্র সিংহ, নয়াদিল্লি: বাজেট পেশের (budget session) পর দিনই সংসদের অধিবেশনে অশান্তি (protest of opposition at parliament)। আদানি এন্টারপ্রাইজের এফপিও (closure of adani enterprise FPO) বন্ধের সিদ্ধান্তের পর হাঙ্গামা করল বিরোধীরা। লোকসভা ও রাজ্যসভার অধিবেশন দুপুর দুটো পর্যন্ত মুলতুবি। 


সকাল থেকে যা চলল...
এর আগে আজ সকালে সরকারকে চাপে ফেলার রণকৌশল ঠিক করতে বৈঠক করেন বিরোধীরা। কংগ্রেসের ডাকা বৈঠকে হাজির ছিল তৃণমূল, সিপিএম, সিপিআই। তৃণমূলের পক্ষে বৈঠকে হাজির ছিলেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, ডেরেক ও'ব্রায়েন
বিরোধীদের বৈঠকে হাজির ছিল ডিএমকে, সপা, জেডিইউ, শিবসেনা, এনসিপিও। বৈঠকের পরেই আদানি ইস্যুতে তদন্তের দাবিতে সরব হবেন বলে জানান বিরোধীরা। যৌথ সংসদীয় কমিটি বা সুপ্রিম কোর্টের নজরদারিতে তদন্তের দাবি তোলেন তাঁরা।


কী দাবি বিরোধীদের?
কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে বলেন, 'হয় যৌথ সংসদীয় কমিটি বানিয়ে গোটা বিষয়টির তদন্ত করা হোক, নয়তো সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে একটি কমিটি বানিয়ে তদন্ত করুন। শুধু তাই নয়। প্রত্যেক দিনের রিপোর্ট পেশ করতে হবে।' সমাজবাদী পার্টির তরফেও বিষয়টিকে সমর্থন করে জানানো হয়, দেশের বাসিন্দাদের মধ্য়ে যাঁরা ব্যাঙ্ক বা এলআইসিতে টাকা রেখেছেন, তাঁদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। এমনকি স্টেট অফ ইন্ডিয়ার মতো প্রতিষ্ঠানও টাকা তুলতে আসা গ্রাহকদের ফিরিয়ে দিচ্ছে বলে অভিযোগ সমাজবাদী পার্টির। তাদের দাবি, এসবিআইয়ের এসব ক্ষেত্রে যুক্তি, পরে আসতে বলে ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে গ্রাহকদের। বিরোধীদের প্রশ্ন, এখনও পর্যন্ত লোকে ব্যাঙ্ককেই টাকা রাখার ব্যাপারে সবচেয়ে নিরাপদ বলে মনে করত। কিন্তু এর পর কী হবে? তাই গোটা বিষয়টির তদন্তের দাবিতে সরব হয়েছেন তাঁরা। খাড়্গে-সহ বাকি দলের নেতাদের পাশে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেনকেও।


এফপিও তোলা নিয়ে...
জালিয়াতি এবং কারচুপির অভিযোগ ঘিরে উত্তাল পরিস্থিতি। তার মধ্যেও বাইরে থেকে সহযোগিতা মিলেছে। তা সত্ত্বেও বাজেট পেশের দিনই ২০ হাজার কোটির ফলো অন পাবলিক অফার বা FPO তুলে নিয়েছে আদানি গোষ্ঠী। বর্তমানে বাজারের যা পরিস্থিতি, তাতে FPO নিয়ে এগনো নৈতিক ভাবে সঠিক নয় বলে জানিয়েছে তারা। আদানি গোষ্ঠী জানিয়েছে, বাজেটের দিন যদিও তাদের FPO সফল ভাবেই ক্লোজ করা হয়েছে, কিন্তু বাজারে যে অভূতপূর্ব পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে, তাতে শেয়ার বাজারে তাদেরও দর ওঠানামা করেছে। তার জন্য়ই এমন সিদ্ধান্ত। আদানি গোষ্ঠীর তরফে একটি বিবৃতি প্রকাশ করে বলা হয়, 'পরিস্থিতি বিবেচনা করেই FPO নিয়ে না এগনোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বোর্ড। কারণ তা না করলে নৈতিক ভাবে ভুল অবস্থান নেওয়া হতো। কারণ আমাদের কাছ বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তাঁদের ক্ষতি হোক, কোনও ভাবে চাইব না আমরা। তাতেই FPO নিয়ে না এগনোর সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে'। 


আরও পড়ুন:কারচুপির অভিযোগে উত্তাল বাজার, বাজেটের দিনই FPO তুলে নিল আদানি গোষ্ঠী