সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়, শ্রীরামপুর : মুকুল রায়কে পিএসির চেয়ারম্যান করার প্রতিবাদে রাজ্য বিধানসভার সব'কটি স্ট্যান্ডিং কমিটি থেকে ইস্তফা দিয়েছেন বিজেপির বিধায়করা। এবার এই ইস্যুতে সুর চড়ালেন তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র। তিনি বলেন, বেশ করেছে। আমার পার্টির লোক কাকে করব না করব তা কি ওরা ঠিক করবে ? বেশ করেছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পারলে আরও করবে। তোদের এত রাগ কেন। যখন চার্জশিটে নামটা দিতে ভুলে গিয়েছিলি তখন মনে ছিল না যে মুকুল একদিন পিএসির চেয়ারম্যান হতে পারে। তৃণমূলে এলেই খারাপ আর তোদের সঙ্গে থাকলেই নাম দিতে ভুলে যাস। বেশ করেছে। আমি মনে করি, এমন কঠোর সিদ্ধান্ত নিক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে ওরা ধুলিস্মাৎ হয়ে যায়।


আজ সন্ধেয় মাহেশে জগন্নাথ দর্শনে আসেন মদন মিত্র । বিপত্তারিণীর পুজো দেন, গান করেন, ঠাকুরের সামনে কাঁসরও বাজান । পরে মদনবাবু বলেন, মাহেশে দাঁড়িয়ে বলে যাচ্ছি এখানে ঝান্ডা ধরার মতো বিজেপির কেউ থাকবে না। 


এখন অনেক ভুয়ো কেস ধরা পড়ছে। এই প্রসঙ্গে মদন মিত্র বলেন, আসলে এটা ছিল না। তৃণমূল তো ২০১১ সাল থেকেই আছে। যবে থেকে বিজেপি গোলি মার গোলি মার আর হাজার টাকা গ্যাসের দাম, একশো টাকা পেট্রোলের দাম করেছে তবে থেকে বেড়েছে। আগে এসব ছিল না। আগে তৃণমূলই ছিল। এসব ঢোকাচ্ছে কে ? বিজেপি ঢোকাচ্ছে। তবে আসল ভ্যাকসিনটা যার হাতে তার নাম বাংলার মাটি মানুষ। ঠিক সময়ে ভ্যাকসিনটা দিয়ে দিয়েছে।


এদিকে "বাবাকে বলো" নিয়ে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। সেই প্রসঙ্গে তৃণমূল বিধায়ক বলেন, শুভেন্দু নিয়ে কিছু বলতে আমার খারাপ লাগে। সেদিন আমার এক কলিগ পার্থ ভৌমিক বললেন মানুষের কোনও সমস্যা হলে আমরা বলতাম "দিদিকে বলো"। একটা আমাদের প্রকল্প ছিল। শুভেন্দু তো আর দিদিকে বলবেন না। তাহলে শুভেন্দু তোর বাবাকে বল। বাবাকে বলায় অপমানিত হয়েছেন। মানে, বাবা বলে মানতে চাইছেন না। আসলে ওঁর চরিত্রটা আগে নিজে ঠিক করুন। চ্যারিটি বিগিনস এট হোম। আমার যদি মৃত্যু হয় লোকে বলবে একটা ইমানদারের মৃত্যু হয়েছে, গদ্দারের নয়।


প্রসঙ্গত, বিধানসভার ৮টি স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্য়ানের পদে আসীন ছিলেন বিজেপি বিধায়করা। মুকুল রায়কে পিএসি চেয়ারম্যান করার প্রতিবাদে সমস্ত স্ট্যান্ডিং কমিটি থেকে ইস্তফা দেন ৮ বিজেপি বিধায়কই। পদত্যাগ করেন বিজেপির মিহির গোস্বামী, মনোজ টিগ্গা, কৃষ্ণ কল্যাণী, নিখিলরঞ্জন দে, বিষ্ণুপদ শর্মা, দীপক বর্মণ, অশোক কীর্তনিয়া ও আনন্দময় বর্মণ।