জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে হিন্দু পর্যটকদের নৃশংস হত্যা নড়িয়ে দিয়েছে গোটা বিশ্বকে । সন্ত্রাসবাদ ইস্যুতে ভারতও 'নো টলারেন্স ' নীতি নিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর হুঁশিয়ারির পর ভূস্বর্গে অ্যাকশন মোডে ভারতীয় সেনা । পহেলগাঁও বেছে বেছে হিন্দু খুন, পাল্টা অ্যাকশনে ভারতীয় সেনা মুরানে লস্কর জঙ্গি এহসানের বাড়ি ধ্বংস করে দিয়েছে। গুঁড়িয়ে দিয়েছে লস্কর-ই-তৈবার জঙ্গি এহসান-উল- হক শেখের বাড়ি। কুলগামে মাতালহামায় আরেক লস্কর জঙ্গি জাকিরের বাড়ি ধ্বংস করা হয়েছে। ধুলোয় মেশানো হয়েছে লস্কর জঙ্গি জাকির আহমেদ গনিয়ার বাড়ি । তালিকাটা লম্বা। সেই সঙ্গে কোনা কোনা থেকে জঙ্গি নিকেশ করার অভিযান চলছে। কিন্তু অনেকেরই প্রশ্ন, এই যারা স্বাভাবিক জীবন ছেড়ে কেউ সন্ত্রাসবাদের পথে পা বাড়ায়, তারা কীসের মোহে যায়? কত টাকা পায় এরা? কীসের টান? বিভিন্ন প্রতিবেদন সূত্রের খবর চমকে দেওয়ার মতো।
সন্ত্রাসবাদীদেরও ‘বেতন’ দেওয়া হয়বিভিন্ন প্রতিবেদন অনুযায়ী, জম্মু-কাশ্মীরে সন্ত্রাস ছড়ানোর জন্য বিপুল অঙ্কের টাকা খাটানো হয়। সন্ত্রাসবাদীদের দেওয়া হয় বিপুল অঙ্কের সাইনিং অ্যামাউন্ট। তবে মানতে হয় অনেক শর্ত। সেই সঙ্গে মাসিক বেতন আছে। আর কাজ শেষ হলে আছে বোনাসের ব্যবস্থা। বিশেষ হামলার জন্য পুরস্কারও দেওয়া হয়, এমনটাই দাবি বিভিন্ন সূত্রে।
নিয়োগের সময় এত টাকা দেওয়া হয়এবিপি লাইভের প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে, কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সিআইএও জার্নালে প্রকাশিত গবেষণাপত্র অনুযায়ী, নিয়োগের সময় বিদেশি সন্ত্রাসবাদীদের ৫০,০০০ টাকা এবং স্থানীয় সন্ত্রাসবাদীদের ২৫,০০০ টাকা পর্যন্ত দেওয়া হয়। মাসিক বেতন আবার একেক স্তরের জন্য একেকরকম। বিদেশি সন্ত্রাসবাদীদের ১০,০০০ থেকে ১২,০০০ টাকা দেওয়া হয়। স্থানীয় সন্ত্রাসবাদীদের ৮,০০০ থেকে ১০,০০০ টাকা প্রতি মাসে দেওয়া হয়।
অন্যদিকে, তাদের কাজ শেষ হলে বোনাস দেওয়া হয়। এই সময় তাদের ২ লক্ষ থেকে ২.৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত দেওয়া হয়। এছাড়াও বলা হয়েছে ‘বিশেষ অভিযানের’ সময় বিশেষ বোনাস দেওয়া হয়। বোমা বিস্ফোরণ বা বড় ধরনের হামলার জন্য ১ লক্ষ থেকে ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত পুরস্কার দেওয়া হয়।
সুপ্রিম লিডারকে বেশি টাকাগবেষণাপত্রে উঠে এসেছে যে সন্ত্রাসবাদীদের সুপ্রিম লিডারদের বেশি টাকা দেওয়া হয়। এই নেতাদের প্রায় ৫০,০০০ টাকা মাসিক বেতন দেওয়া হয়। এছাড়াও তাদের পরিবারগুলিকে আর্থিক সাহায্য দেওয়া হয়।
পরিবারকেও সাহায্য করা হয়এই গবেষণায় বলা হয়েছে যে সন্ত্রাসবাদীর মৃত্যু হলে পরিবারগুলিকে লক্ষ লক্ষ টাকা সাহায্য দেওয়া হয়। সঙ্গে প্রতি মাসে কিছু টাকাও দেওয়া হয়। এছাড়াও ইদের মতো উৎসবের সময় আলাদা করে আর্থিক সাহায্য দেওয়া হয়।
প্রশিক্ষণে কত টাকা খরচ হয়একজন সন্ত্রাসবাদীকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য প্রায় ২৫,০০০ টাকা এবং অস্ত্র, পোশাক, সরঞ্জাম সংগ্রহের জন্য ৩০,০০০ টাকা পর্যন্ত খরচ হয়। অনেক সময় সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলিকে বিভিন্ন জায়গা থেকে অর্থ সাহায্য দেওয়া হয়। বিভিন্ন প্রতিবেদন অনুযায়ী, অর্থের বড় অংশ বিদেশি সংস্থা, হাওয়ালা নেটওয়ার্কের মাধ্যমে আসে।
দাবিত্যাগ: এবিপি লাইভ কোনও তথ্য বা বিস্তারিতের সত্যতা নিশ্চিত করে না। এটি বিভিন্ন প্রতিবেদন ও গবেষণাপত্র থেকে নেওয়া হয়েছে।