Pahalgam Terror Attack: পহেলগাঁও হামলার পাক যোগ আরও স্পষ্ট। এনআইএ- র নতুন চার্জশিটে নাম রয়েছে পাক নাগরিক সাজিদ সইফুল্লা জাটের। জানা গিয়েছে, এই ব্যক্তি পাকিস্তানের নাগরিক। পহেলগাঁও হামলার মূল চক্রী হিসেবে এই ব্যক্তিকেই চিহ্নিত করেছে এনআইএ। গত ২২ এপ্রিল জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ের কাছে বৈসারন উপত্যকায় জঙ্গি হামলায় মৃত্যু হয়েছে ২৫ জন নিরীহ পর্যটক এবং স্থানীয় এক টাট্টুঘোড়া চালকের। এই জঙ্গি হামলার ৮ মাস পর ভালভাবে তদন্ত করে চার্জশিট পেশ করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।
এনআইএ সূত্রে জানা গিয়েছে, সাজিদ সইফুল্লা জাট পাকিস্তানের কাসুরের বাসিন্দা। লস্কর-ই-তৈবার শাখা সংগঠন দ্য রেজিসট্যান্ট ফ্রন্ট (টিআরএফ)- এর মাথা ছিল এই ব্যক্তি। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, পহেলগাঁও হামলার দায় স্বীকার করেছিল লস্করের এই শাখা সংগঠনই। সাজিদ সইফুল্লা জাটের সম্পর্কে তথ্য দিতে পারলে তথ্য প্রদানকারীকে ১০ লক্ষ টাকা পুরস্কার দেওয়ার কথাও ঘোষণা করেছে এনআইএ। এর পাশাপাশি, ইউএপিএ অ্যাক্ট অনুসারে এই সাজিদ সইফুল্লা জাটকে নিষিদ্ধ জঙ্গি হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, সাজিদ সইফুল্লা জাট ছাড়াও এনআইএ- র চার্জশিটে নাম রয়েছে আরও তিন পাক জঙ্গির। তারা হল সুলেইমানি শাহ, হামজা আফগানি এবং জিবরান। ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওতে হামলা চালিয়েছিল এই তিন জঙ্গিই। পরবর্তীতে ২৮ জুলাই 'অপারেশন মহাদেব'- এর আওতায় এই তিন জঙ্গিকেই খতম করে নিরাপত্তানাহিনী। জম্মুর একটি এনআইএ আদালতে চার্জশিট পেশ করা হয়েছে। সেখানে নাম রয়েছে আরও ৬ জনের। তাদের মধ্যে রয়েছে স্থানীয় বাসিন্দা বশির আহমেদ জোথার, পারভেজ আহমেদ জোথার এবং মহম্মদ ইউনুস। জঙ্গিদের নানা ভাবে সাহায্য (logistical support) করেছিল এই তিন ব্যক্তি।
তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন বশির এবং পারভেজ জঙ্গিদের থাকার ব্যবস্থা করেছিল 'হিল পার্ক' এলাকার এক বাড়িতে। ২১ এপ্রিল রাতে সেখানেই ছিল ওই তিন জঙ্গি। আর মহম্মদ ইউসুফ দক্ষিণ কাশ্মীরের ঘন জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে গিয়ে হামলা করার ব্যাপারে জঙ্গিদের পথ দেখিয়েসাহায্য করেছিল। বৈসারন উপত্যকা, যেখানে হামলা চালিয়েছিল জঙ্গিরা, সেই এলাকা পর্যন্ত জঙ্গিদের নিয়ে গিয়েছিল এই ইউসুফই। বিগত সাত মাসের তদন্তে ১০০০- এর বেশি লোককে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে এনআইএ। পহেলগাঁও হামলার সঙ্গে লস্কর-ই-তৈবা এবং দ্য রেজিসট্যান্ট ফ্রন্টের যে যোগসূত্র রয়েছে তা জানতেই এই জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।