নয়াদিল্লি : ক্রমেই পহেলগাঁও হামলায় স্পষ্ট হচ্ছে পাকিস্তানের যোগ। হামলাকারীদের অন্যতম মাস্টারমাইন্ড হাসিম মুসা আদতে পাকিস্তান সেনাবাহিনীরই সদস্য। তাকে ডাকা হত ফৌজি নামেই। এমনই তথ্য সামনে এসেছে। এখানেই শেষ নয়। এবার আরও বিস্ফোরক তথ্য এসেছে সামনে। প্রকাশ্যে এসেছে পাক গোয়েন্দা সংস্থা ISI-এর নতুন ছক ।
ভারতকে অশান্ত করার বড়সড় চক্রান্ত চক্রান্ত করছিল পাকিস্তান। এবার তাও ফাঁস হয়ে গেল ! কাশ্মীরে ভারতীয় সেনার গোপন তথ্য হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চলছিল। ভারতীয় সেনার অফিসারের নাম বলে ফোন করে তথ্য নেওয়ার চেষ্টাও করা হয়েছিল আইএসআইয়ের তরফে। সামনে এল ভয়ঙ্কর ষড়যন্ত্রের তথ্য।
সেনাবাহিনীর উপরও হামলা করার ছক?
গোয়েন্দাদের প্রত্যয়, সেনারা যে গাড়িতে যাতায়াত করেন, তার রাস্তা জানার চেষ্টা করছে আইএসআই । হোশিয়ারপুরে সেনা নিয়ে যাওয়া ট্রেনের সম্পর্কেও খোঁজখবর নেওয়ার চেষ্টা করে তারা। তাহলে কি সেনাবাহিনীর উপরও হামলা করার ছক ছিল তাদের ? মুকেরিয়া, পাঠানকোট, ভাতিন্ডায় ফোন করে গোপন তথ্য নেওয়ার চেষ্টা করা হয় আইএসআইয়ের তরফে। খবর সূত্রের। ভারতীয় গোয়েন্দাদের হাতে এসে পৌঁছেছে ISI এজেন্টদের ফোনে কথোপকথনের সেই রেকর্ড।
এরই মধ্যে কাশ্মীরে হামলাকারী জঙ্গিদের খুঁজতে উপত্যকা জুড়ে চলছে লাগাতার তল্লাশি। শ্রীনগরের ২৬টি ঠিকানায় তল্লাশি চালানো হয়েছে। ইতিমধ্য়েই UAPA ধারায় মামলা দায়েরও হয়েছে। নিহতদের পরিবারের বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে। খতিয়ে দেখা হচ্ছে স্থানীয়দের থেকে প্রাপ্ত ভিডিও। বিভিন্ন ভিডিও হাতে পেয়েছে এনআইএ। সেগুলো যাঁরা রেকর্ড করেছেন, তাঁদের বয়ানও নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি বয়ান রেকর্ড করা হচ্ছে স্থানীয়দেরও। সবমিলিয়ে কাশ্মীরে ঝাঁপিয়ে পড়েছে ভারতীয় সেনা।
হামলাকারীদের অন্যতম হাশিম মুসা পাক সেনার সদস্য
এছাড়া পহেলগাঁওয়ে নৃশংস জঙ্গি হামলার ঘটনায়, আগেই পাকিস্তানের হাত থাকার ইঙ্গিত মিলেছিল, এবার পাক যোগ আরও স্পষ্ট হল। সূত্রের খবর, হামলাকারীদের অন্যতম হাশিম মুসা। সে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর স্পেশাল সিকিউরিটি গ্রুপ বা SSG-এর কম্য়ান্ডো ছিল। পাক সেনাবাহিনীতে হাশিম মুসা পরিচিত ছিল আসিফ 'ফৌজি' নামেও। ভারতীয় সেনাবাহিনীর এক অফিসার সূত্রে খবর, সন্ত্রাসবাদীদের সাহায্যকারী ১৫ জন স্থানীয়কে জিজ্ঞাসাবাদ করে, মুসার পাকিস্তান-যোগ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া গেছে। সূত্রের দাবি, ২২ তারিখ, বৈসরন উপত্য়কায় হামলার ঘটনায় হাসিম মুশা সরাসরি জড়িত ছিল। কাশ্মীরের বেশ কয়েকটি জায়গায় হামলার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল মুসাকে।