নয়া দিল্লি:  পাকিস্তানের ওপর আরও এক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করল ভারত। এবার পাকিস্তানি বিমানের জন্য নিজেদের আকাশসীমা বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল নয়াদিল্লি। অর্থাৎ ভারতের আকাশসীমায় চলাচল করতে পারবে না পাকিস্তানের কোনও বিমান। পহেলগাঁও হামলার প্রেক্ষাপটে এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হল। ভারতের বিরুদ্ধে আগে একই পদক্ষেপ করেছে পাকিস্তান। এ বার পাল্টা পদক্ষেপ করল নয়াদিল্লিও। কেন্দ্রের তরফে বুধবার একটি ‘নোটিস টু এয়ার মিশন’ (এনওটিএএম) জারি করা হয়েছে। 

এবার কূটনৈতিক চাপের সঙ্গে যোগ হয়েছে সামরিক কৌশল পশ্চিম সীমান্তে ভারত মোতায়েন করেছে অত্যাধুনিক জ্যামিং সিস্টেম, যার প্রধান লক্ষ্য পাকিস্তানের সামরিক প্রযুক্তি নির্ভরতা ভেঙে দেওয়া। সূত্র বলছে, ভারতীয় এই জ্যামার সিস্টেম একযোগে জিপিএস (যুক্তরাষ্ট্র), গ্লোনাস (রাশিয়া) ও বেইদৌ (চিন)-সহ একাধিক উপগ্রহ-নির্ভর গ্লোবাল নেভিগেশন স্যাটেলাইট সিস্টেম (GNSS)-এর সঙ্গে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সংযোগ ব্যাহত করতে পারে।

কীভাবে কাজ করে এই জ্যামিং সিস্টেম?জ্যামার মূলত শক্তিশালী রেডিও সিগন্যাল নির্গত করে, যা উপগ্রহ থেকে নির্দিষ্ট যন্ত্রে (যেমন যুদ্ধবিমান বা ড্রোনে) পাঠানো জিএনএসএস তথ্যকে বিকৃত বা বিঘ্নিত করে। টার্গেটিং সিস্টেম সঠিকভাবে কাজ করে না, প্রিসিশন গাইডেড মিসাইল বা স্মার্ট বোমার সফলতা কমে যায়। রিয়েল-টাইম সিচুয়েশনাল অ্যাওয়ারনেস বিঘ্নিত হয়।  এদিকে, পহেলগাঁওয়ে গণহত্যার পাল্টা অ্যাকশনে নামল ভারত। ইতিমধ্যেই প্রস্তুত ৩ প্রতিরক্ষা বাহিনী। গুজরাতের উপকূলবর্তী এলাকায় সতর্কতা জারি। ৩ মে পর্যন্ত গুজরাত উপকূলে কড়া সতর্কতা। তবে, একদিকে বদলার প্রস্তুতি, আরেকদিকে 'ওয়াটার স্ট্রাইক'। জলেই পাকিস্তানকে জব্দ করতে চায় ভারত, এই নিয়ে শাহ-পাতিল বৈঠকও হয়েছে।  পাকিস্তান যেন কোনমতেই জল না পায়, এমনই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, খবর সূত্রের।                                       

এর পাশাপাশি পহেলগাঁও হামলায় পাকিস্তানকে জবাব দিতে তৈরি ভারত। প্রধানমন্ত্রীর পূর্ণ স্বাধীনতার পরই অল আউট অ্যাকশনে সেনাবাহিনী। রাজস্থানে সেনার মহড়া, পাক সীমান্তের কাছে নামল প্যারা-SF কমান্ডো। থর মরুভূমিতে নামল ট্যাঙ্ক, আরব সাগরে মোতায়েন INS বিক্রান্ত। আকাশপথে রাফাল, সুখোই, মিরাজ ফাইটার প্লেনের শক্তি প্রদর্শন।