আবির দত্ত : পহেলগাঁওকাণ্ডে NIA-এর হাতে গ্রেফতার ২ জন। হামলাকারীদের আশ্রয় দিয়েছিল ধৃত ২ জন, খবর NIA সূত্রে। 'কাশ্মীরের হিলপার্ক এলাকায় ৩ হামলাকারীকে আশ্রয় দিয়েছিল ধৃত ২ জন', দাবি NIA-এর। ধৃতরা পাক নাগরিক ও লস্কর-ই-তৈবার সদস্য, দাবি NIA-এর।
পহেলগাঁওকাণ্ডে লস্কর জঙ্গিদের আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগে, জম্মু কাশ্মীরের ২ বাসিন্দাকে গ্রেফতার করল NIA. সূত্রের খবর, পহেলগাঁওয়ের হিলপার্ক এলাকায় ৩ জঙ্গিকে আশ্রয় দিয়েছিল ধৃত পারভেজ আহমেদ জোথার এবং বশির আহমেদ জোথার। পারভেজ পহেলগাঁওয়ের বাটকোট এবং বশির হিল পার্কের বাসিন্দা। NIA সূত্রে দাবি, ধৃতরা জানিয়েছে, পহেলগাঁওয়ের। হামলাকারীরা পাক নাগরিক এবং লস্কর-ই-তৈবার সদস্য। NIA সূত্রে দাবি, হামলার আগে জেনেশুনেই ৩ জঙ্গিকে থাকার জায়গা, খাবার এবং লজিস্টিক সহায়তা দিয়েছিল এই ২ জন। বৈসরন ভ্যালিতে গণহত্যার পর, জঙ্গিরা কোথায় গা ঢাকা দিয়েছে, তা জানার চেষ্টা চলছে।
২২ এপ্রিল, ২০২৫। ভারতের ইতিহাসে নিঃসন্দেহে কালো দিন হয়ে থেকে যাবে। কারণ ওই দিনই জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ের কাছে বৈসরন উপত্যকায় ভয়াবহ জঙ্গি হামলা হয়েছে। নিহত হয়েছেন ২৬ জন নিরীহ সাধারণ মানুষ। তাঁদের মধ্যে ২৫ জন পর্যটক। আর একজন স্থানীয় যুবক, পেশায় টাট্টু ঘোড়ার চালক। পর্যটকদের বাঁচাতে গিয়ে জঙ্গিদের গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে যান তিনি। আর পর্যটকদের ক্ষেত্রে জঙ্গিরা ধর্মীয় পরিচয় জেনে, বেছে বেছে হিন্দু পুরুষদের টার্গেট করেছিল। গুলি করে খুন করা হয় তাঁদের। স্ত্রী'র সামনে স্বামী, মেয়ের সামনে বাবা খুন হয়েছেন জঙ্গিদের হাতে। মহিলাদেরকে ছেড়ে দিয়েছিল জঙ্গিরা। বলেছিল 'দেশে ফিরে প্রধানমন্ত্রী মোদিকে বলো।' এই জঙ্গি হামলার দায় শিকার করেছিল লস্কর-ই-তৈবার শাখা সংগঠন টিআরএফ, দ্য রেজিসট্যান্স ফ্রন্ট।
হিন্দু মহিলাদের সিঁথির সিঁদুর এক লহমায় মুছে দিয়েছিল ২২ এপ্রিলের জঙ্গি হামলা। বদলা নিয়েছে ভারত। ৭ মে গভীর রাতে 'অপারেশন সিঁদুর' অভিযানের মাধ্যমে হয়েছে কড়া প্রত্যাঘাত। মহিলাদের সিঁদুরের সম্মানার্থেই ভারতের অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছে 'অপারেশন সিঁদুর'। ২৫ মিনিটের নিখুঁত অপারেশনে পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ৯টি জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেয় ভারত। সেই তালিকায় ছিল হিজবুল, লস্কর, জইশের হেডকোয়ার্টার, লঞ্চপ্যাড। খতম হয়েছে বেশ কিছু কুখ্যাত জঙ্গি। তার মধ্যে রয়েছে মাসুদ আজহারের ভাই এবং কান্দার বিমান অপহরণের অন্যতম মাথা।