কলকাতা: মধ্যরাতে যখন গোটা দেশবাসী শান্তিতে ঘুমোচ্ছে, তখনই চরম আঘাত হানল ভারত। পহেলগাঁওয়ের প্রত্যাঘাত ভারতের, সিঁদুরের বদলা 'অপারেশন সিঁদুর'। রাতের অন্ধকারে রাফাল গর্জন, পাকিস্তান ও POK-তে জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করল ভারত। মধ্যরাতে মাত্র ২৫ মিনিটের অপারেশন, জইশ-লস্কর-হিজবুলের ৯ ঘাঁটি ধ্বংস করল ভারত। ভারতের প্রত্যাঘাত, কান্দাহার-মুম্বই হামলার চক্রী মাসুদের পরিবার নিকেশমোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গি মাসুদ আজহারের পরিবারের ১৪জন নিহত হয়েছে বলে খবর সূত্রের। গুরুতর আহত মাসুদের ভাই ও মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গি রউফ আসগর। ভারতের জবাব, জইশ প্রধানের ভাইয়ের ছেলে হুজাইফাও নিহত হয়েছে বলেই জানা যাচ্ছে। ভারতের বদলা, ধুলিসাৎ জইশ, লস্কর, হিজবুল মুজাহিদিনের ট্রেনিং ক্যাম্প। পহেলগাঁও কাণ্ডের ১৫দিনের মাথায় ২৬ জনকে হত্যার কঠোর বদলা। ভারতের প্রত্যাঘাত, পাকিস্তান-পাক অধিকৃত কাশ্মীরে পরপর জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করল দেশ।
জঙ্গিদের দেহের ওপর জাতীয় পতাকা!
আর এই পরিস্থিতিতে যে ছবি সামনে এসেছে, তা ভয়াবহ। জঙ্গিদের সঙ্গে পাকিস্তানের যোগাযোগ ফের একবার প্রকাশ্যে চলে এল, এই ছবি সামনে আসার সঙ্গে সঙ্গে। মুরিদকে ফুটবল স্টেডিয়ামে নিহত জঙ্গিদের শেষকৃত্য হল সেনা ও পুলিশের তত্ত্বাবধানে। হাজির রইলেন পাক সেনার বিভিন্ন বড় অফিসাররা। এখানেই শেষ নয়, জঙ্গিদের দেহ যে কফিনে আনা হয়েছে, তাকে মোড়া হল জাতীয় পতাকায়। ভারতে এই সম্মান দেওয়া হয় এমন মানুষদের, যাঁরা দেশের জন্য জীবন দিয়েছেন অথবা জীবিত অবস্থায় দেশের সেনা বা কোনও গুরুত্বপূর্ণ সরকারি পদে আসীন ছিলেন। দেশমাতৃকা যেন বিশেষ সম্মান জানান এই দেশের জন্য যাঁরা প্রাণ দেন, তাঁদের। তবে কি পাকিস্তান মৃত জঙ্গিদের শহিদের সম্মান দিচ্ছে? যে সম্মান ভারতীয় শহিদদের প্রাপ্য, সেই একই সম্মান কি জঙ্গিদের দিচ্ছে পাকিস্তান? নাহলে কেন জঙ্গিদের কফিন মোড়া হল জাতীয় পতাকায়? এই ছবি দেখে যেমন শিউরে উঠছে দেশের মানুষের একাংশ, তেমনই কেউ কেউ বলছেন, এই ছবিই বলে দিচ্ছে যে পাকিস্তানের জঙ্গি যোগ রয়েছে।
কীভাবে প্রত্যাঘাত?
রাফাল থেকে স্ক্যাল্প মিসাইল ছুড়ে জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করল বায়ুসেনা, খবর সূত্রের। স্টর্ম শ্যাডো বা স্ক্যাল্প মিসাইল দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র, যা নির্দিষ্ট লক্ষ্যে আঘাত হানতে সক্ষম। ২৫০ কিলোমিটার দূরত্ব পর্যন্ত গিয়ে আঘাত হানতে সক্ষম স্ক্যাল্প মিসাইল। মাটির বহু গভীর পর্যন্ত আঘাতের তীব্রতা ছড়িয়ে দিতে সক্ষম স্ক্যাল্প মিসাইল। স্ক্যাল্প মিসাইল এর আগে ব্যবহার করত গ্রেট ব্রিটেন ও ফ্রান্স। এই মিসাইলের ওজন মোটামুটি ১ হাজার ৩০০ কেজি। দূর থেকে আক্রমণ শানিয়ে ধ্বংসের মাত্রা বাড়াতে এই ক্ষেপণাস্ত্র প্রয়োগ করা হয়ে থাকে। প্রত্যাঘাতে ব্যবহার করা হয়েছে হ্যামার স্মার্ট বম্ব। শক্তিশালী বাঙ্কার, কংক্রিটের বহুতল এক মুহূর্তে গুঁড়িয়ে দিতে পারে হ্যামার স্মার্ট বম্ব। ৫০ থেকে ৭০ কিলোমিটার দূরে ছোড়া যায় এই স্মার্ট বম্বকে। ২৫ মিনিটে অপারেশন, রাফালের সঙ্গে ছিল সুখুই।