নয়া দিল্লি: বুধবার বিকেল থেকেই গোটা উত্তর ভারতে প্রবল ঝড়বৃষ্টি শুরু হয়। দিল্লিতে প্রায় ৯৭ কিমি বেগে ঝড় হয়। বহু এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে তার জেরে। এহেন প্রতিকূল আবহাওয়ার মধ্যেই শ্রীনগরের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে ইন্ডিগোর একটি বিমান। সেই সময়ই ভয়াবহ দুর্যোগের মধ্যে পড়ে দিল্লি থেকে শ্রীনগরগামী বিমান। তবে এরই মধ্যে পাকিস্তানের আরও একটি লজ্জাজনক, অমানবিক কাণ্ড প্রকাশ্যে এসেছে। শ্রীনগরগামী ইন্ডিগো বিমানের জরুরি অবতরণকারী পাইলট যাত্রীদের জীবন বাঁচাতে পাকিস্তানের আকাশসীমা ব্যবহারের জন্য লাহোর এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোলের কাছে অনুমতি চেয়েছিলেন। কিন্তু অনুরোধটি প্রত্যাখ্যান করে লাহোর এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোল, এমনটাই খবর সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে।                                                

সূত্রের খবর, বুধবার হঠাৎ ঝড় ও শিলাবৃষ্টির সময় ইন্ডিগোর পাইলট খারাপ আবহাওয়া এড়াতে পাকিস্তানের আকাশসীমা ব্যবহারের অনুমতি চেয়েছিলেন, যা লাহোর এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোল প্রত্যাখ্যান করে, জানিয়েছে সংবাদসংস্থা পিটিআই। 

শ্রীনগর পৌঁছনোর খানিকক্ষণ আগেই বিমানটি শিলাবৃষ্টির মধ্যে পড়ে। তার জেরে প্রবল ঝাঁকুনি শুরু হয় বিমানের মধ্যে। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন যাত্রীরা। বিমানের গায়ে আছড়ে পড়তে থাকে একের পর এক শিলা। তাতে আরও বেশি করে কাঁপতে থাকে গোটা বিমানটি। ভয় ধরানো এমন বেশ কিছু ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশাল মিডিয়ায়। তবে প্রচুর সমস্যার মধ্যেও বিকেল সাড়ে ৬টা নাগাদ পাইলটের অক্লান্ত চেষ্টায় বিমানটি নিরাপদে অবতরণ করে শ্রীনগর বিমানবন্দরে। নামার পরে দেখা যায়, ভেঙে গিয়েছে উড়ানের সামনের দিকের কিছুটা অংশ।                       

পরে উড়ান সংস্থার তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়, সমস্ত বিমানকর্মী এবং ২২৭ জন যাত্রীরা সকলেই নিরাপদে রয়েছেন। যথাযথ প্রোটোকল মেনেই বিমানটি নামানো হয়েছে। যাত্রীদের পাশে যথাসম্ভব থাকার চেষ্টা করেছেন বিমানকর্মীরা। এদিনের শিলাবৃষ্টিতে বিমানটি যেটুকু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সেটি মেরামতির জন্য পাঠানো হবে।               

পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনার পরিপ্রেক্ষিতে, প্রতিবেশী দেশটি ভারতীয় বিমান সংস্থাগুলির জন্য তার আকাশসীমা বন্ধ করে দিয়েছে। ভারতও পাকিস্তানি বিমান সংস্থাগুলির জন্য তার আকাশসীমা বন্ধ করে দিয়েছে।