লাহৌর: ফের ভয়াবহ বিস্ফোরণ পাকিস্তানে। এ বার বিস্ফোরণ থানার মধ্যেই (Pakistan Blast)। তাতে কমপক্ষে ১২ জন মারা গিয়েছেন। আহতের সংখ্যা কমপক্ষে ৬০। তবে এই বিস্ফোরণের নেপথ্যে সন্ত্রাসযোগ দেখছেন না সে দেশের গোয়েন্দারা। বরং থানার ভিতর অস্ত্রভাণ্ডারে বিস্ফোরণ ঘটে বলে জানা গিয়েছে। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে দেশের সন্ত্রাসদমন বিভাগও। রয়েছেন ফরেনসিক দল। বিস্ফোরণস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে ৯Pakistan News)।
সোয়াট উপত্যকার একটি থানায়, সোমবার রাতে এই বিস্ফোরণ ঘটেছে
পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমের সোয়াট উপত্যকার একটি থানায়, সোমবার রাতে এই বিস্ফোরণ ঘটেছে। ২০০৯ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ দিন ওই এলাকা সন্ত্রাসবাদীদের দখলে ছিল। সেনা অভিযানে শেষ পর্যন্ত উদ্ধার করা হয় এলাকা। বর্তমানে সেখানেই পাকিস্তানের সন্ত্রাস দমন বিভাগের সদর দফতর। বিস্ফোরণের তীব্রতায় সন্ত্রাস দমন বিভাগের সদর দফতরও কেঁপে ওঠে বলে জানিয়েছেন সোয়াট উপত্যকার পুলিশ প্রধান আখতার হায়াত।
সোয়াট পুলিশের মুখপাত্র জানান, থানার অস্ত্রভাণ্ডারে আগুন ধরে যায়। শর্ট সার্কিট থেকেই আগুন ধরেছে বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান। বাইরে থেকে হামলা চালানোর সপক্ষে কোনও প্রমাণ মেলেনি এখনও পর্যন্ত। পাকিস্তান পুলিশ এবং সেনাও ঘটনাস্থলে মজুত রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এই বিস্ফোরণের কয়েক ঘণ্টা আগেই লক্কি মারওয়াতে সেনা অভিযানে তিন জঙ্গির মৃত্যু হয়। তাই বিস্ফোরণের নেপথ্যে সন্ত্রাসযোগের সম্ভাবনা দেখা দেয়। তবে পুলিশের তরফে সেই সম্ভাবনা খারিজ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: Kedarnath Opens Door : ফুল-তুষারপাত সহযোগে হর্ষের রেশ, কপাট খুলল কেদারনাথের
বিস্ফোরণস্থলে এখনও উদ্ধারকার্য চলছে। ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও অনেকে আটকে রয়েছেন বলে খবর। থনার অন্দরে একটি মসজিদও রয়েছে। সেখানেও আগুন ছড়িয়ে পড়ে বলে জানা গিয়েছে। বিস্ফোরণের তীব্রতায় থানার ছাদ উড়ে গিয়েছে। তার নিচে কমপক্ষে ২০ জন পুলিশ কর্মী আটকে রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। বিস্ফোরণে যাঁরা মারা গিয়েছেন, তাঁদের অধিকাংশই সন্ত্রাসদমন বিভাগের আধিকারিক বলে জানা গিয়েছে। বিস্ফোরণের সময় থানার সামনে দিয়ে সন্তানকে নিয়ে যাচ্ছিলেন এক মহিলা। তাঁদেরও মৃত্যু হয়েছে।
সোয়াট উপত্যকাতেই সন্ত্রাসবাদীদের হামলার শিকার হন নোবেলজয়ী মালালা ইউসফজাই
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর সোয়াট উপত্যকাতেই সন্ত্রাসবাদীদের হামলার শিকার হন নোবেলজয়ী মালালা ইউসফজাই। পাকিস্তান তালিবানের প্রাক্তন প্রধান মোল্লা ফজলুল্লার জন্মস্থল এই সোয়াট উপত্যকা। ২০১৮ সালে রকেট হামলায় আফগানিস্তানে মৃত্যু হয় তাঁর। মেয়েদের স্কুলে পাঠানোয় উদ্যোগী মালালার উপর হামলা চালায় তালিবান জঙ্গিরা। তাতে কোনও রকমে প্রাণে বাঁচেন মালালা। তার পর থেকে পাকিস্তানের বাইরে তিনি। সম্প্রতি দেশে ফের পা রেখেছিলেন তিনি।