নয়াদিল্লি: রাষ্ট্রসঙ্ঘে কাশ্মীর প্রসঙ্গ তোলার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হল পাকিস্তান। ইসলামাবাদের পুরনো বন্ধু চিনই একা তাদের পাশে দাঁড়ায়, নিরাপত্তা পরিষদের বাকি সব সদস্য দেশ জানিয়ে দেয়, কাশ্মীর ভারত-পাক অভ্যন্তরীণ ইস্যু। দিল্লি বলেছে, ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে আরও অনেক কিছু করতে হবে ইসলামাবাদকে।

গতকাল রাষ্ট্রসঙ্ঘে চিন নতুন করে কাশ্মীর প্রসঙ্গ তোলার চেষ্টা করে। নিরাপত্তা পরিষদের কনসাল্টেশনস রুমে আলোচনার সময় অন্যান্য বিষয়ের সঙ্গে কাশ্মীরও তোলার সওয়াল করে বেজিং। কিন্তু বাকি সদস্য রাষ্ট্রগুলি জানায়, কাশ্মীর একেবারেই ঘরোয়া বিষয়, ভারত-পাক দু’দেশকে তা মেটাতে হবে। ফলে পাশ হতে পারেনি প্রস্তাবটি।

চিন-পাকিস্তানের চেষ্টায় আপত্তি জানিয়ে রাষ্ট্রসঙ্ঘে ভারতের স্থায়ী রাষ্ট্রদূত সৈয়দ আকবরউদ্দিন বলেন, কাশ্মীরের অবস্থা শোচনীয় বলে দাবি করে পাকিস্তানের প্রতিনিধিরা যে চিত্রটি সামনে আনার চেষ্টা করেন, তা নিরাপত্তা পরিষদ সত্যি বলে মেনে নেয়নি বলে তিনি খুশি। পাকিস্তানের চেষ্টাকে তাদের পাগলামি বলে দেখা হয়েছে, বহু বন্ধু রাষ্ট্র বলেছে, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের মাধ্যমেই পাকিস্তানকে ভারতের সঙ্গে তাদের সমস্যা মেটাতে হবে। তাঁর কথায়, পাকিস্তান বরাবরই এভাবে লোকের নজর অন্যদিকে ঘোরাতে মিথ্যে কথার জাল বোনে। আজ যে স্পষ্ট সিগন্যাল দেওয়া হল, আশা করি, এরপর তাতে নজর দেবে তারা, ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার যে কঠিন কাজ তাদের সামনে পড়ে, সে ব্যাপারে গুরুত্ব দেওয়ার চেষ্টা করবে।

চিন অবশ্য বলেছে, তাদের অবস্থান পরিষ্কার, তারা কাশ্মীর পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন। আলোচনার মাধ্যমে ভারত-পাক সমস্যা সমাধানে জোর দিয়েছে তারা।

অগস্টে জম্মু কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা তুলে নেওয়ার পর এ নিয়ে তৃতীয়বার কাশ্মীর পরিস্থিতি রাষ্ট্রসঙ্ঘে তোলার চেষ্টা করল বেজিং। লাদাখকে যেভাবে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করা হয়েছে তাতে তাদের ঘোরতর আপত্তি। বেশ কিচুদিন ধরে চিন লাদাখের বেশ কিছু এলাকা নিজেদের বলে দাবি করে আসছে।