করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকানোর পদক্ষেপ হিসাবে ইমরান খানের সরকার একসঙ্গে ৫ জনের বেশি লোকের প্রার্থনাসভায় থাকায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। কিন্তু সোস্যাল ডিস্ট্য়ান্সিং মেনে চলার সরকারি প্রয়াসকে নাকচ করে পাক ধর্মগুরুরা জানিয়ে দিয়েছেন, এসব না করে কর্তৃপক্ষ বরং ধর্মীয় রীতিনীতি মেনে চলুক, আল্লাহের আশীর্বাদ পাওয়ার জন্য লোকে আরও বেশি করে মসজিদে জড়ো হোক। সোমবার ইসলামাবাদ ও রাওয়ালপিন্ডির ওয়াফাকুল মাদারিস আল আরাবিয়াভুক্ত ৫৩ জনের ওপর ধর্মীয় নেতা এখানকার জামিয়া দারুল উলুম জাকারিয়ায় ধর্মীয় জমায়েতে নিষেধাজ্ঞার নির্দেশ নিয়ে আলোচনা করতে বৈঠকে বসেন।
দি ডন এর খবর, বিভিন্ন ধর্মীয় শিক্ষাকেন্দ্র, নিষিদ্ধ গোষ্ঠী, নিষিদ্ধ লোকজন, রাজনৈতিক ও অরাজনৈতিক সংগঠনের লোকজন সেখানে প্রশাসনকে হুঁশিয়ারি দেয়, ধর্মীয় জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা চলবে না, সরকারি কর্তাদের ধর্মের অনুশাসন মানতে হবে।
এপ্রিলের শেষ সপ্তাহে শুরু হতে চলা রমজান মাসে করোনাভাইরাস সংক্রমণের রাশ টেনে ধরতে সরকার ভাবনাচিন্তা করছে। তার মধ্যেই এই হুঁশিয়ারি ধর্মগুরুদের।
ইসলামাবাদের জামিয়া দারুল উলুম জাকারিয়ার প্রেসিডেন্ট পীর আজিজুর রহমান হাজারভি বলেন, মসজিদ বন্ধ রেখে শুক্রবারের প্রার্থনায় নিষেধ দেশবাসী মানবে না। তাঁর দাবি, ভাইরাস থেকে পরিত্রাণ পেতে হলে আল্লাহের ক্ষমাপ্রার্থনা করা চাই, মসজিদে আরও ভক্তের উপস্থিতি প্রয়োজন।
গতকালের বৈঠকের একটি ভিডিও সামনে এসেছে, যাতে দেখা যাচ্ছে, ধর্মীয় নেতা সামাজিক দূরত্বের রীতি বিসর্জন দিয়ে পরস্পরের গা ঘেঁষে বসে রয়েছেন। যদিও ধর্মীয় নেতারা হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার, কার্পেট, তোয়ালে ফেলে দেওয়া, মেঝে সাফ রাখা, হাত সাবান দিয়ে ধোয়ার মতো সুরক্ষামূলক ব্যবস্থা মানতে রাজি বলে জানিয়েছেন।
হাজারভি অবশ্য বলেছেন, শীর্ষ মৌলবীরা একমত, সরকার ও রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বিবাদ, সংঘাত এড়ানোর সব চেষ্টা করতে হবে।
ইসলামাবাদের লাল মসজিদের মৌলবী মৌলানা আবদুল আজিজ লাগাতার ইসলামাবাদ ক্যাপিটাল টেরিটরি প্রশাসনকে অমান্য করে চলেছেন। তিনি আগাম সুরক্ষামূলক ব্য়বস্থা অগ্রাহ্য করে শুক্রবারের প্রার্থনায় বিপুলসংখ্যক মানুষের জড়ো হওয়ার ছবি বের করছেন। ফলে ইসলামাবাদে শুক্রবারের বড় জমায়েতের আয়োজন করা মসজিদের সংখ্যা বাড়ছে।