নয়াদিল্লি:
মায়ের বুকের দুধে কোভিড ১৯ ভাইরাসের সন্ধান মেলেনি এখনও পর্যন্ত, জানাল আইসিএমআর। জল্পনা ছিল গর্ভবতী মহিলার করোনা সংক্রমণ হলে গর্ভপাতের সম্ভাবনা নিয়ে। কিন্তু আইসিএমআর-এর তরফে জানানো হল, এমন কোনও প্রমাণ এখনও মেলেনি। কিন্তু আরেকটি সম্ভাবনা জিইয়ে রাখল দেশের শীর্ষ হেলথ রিসার্চ বডি। সাংবাদিক বৈঠকে তারা জানাল, কয়েকটি ঘটনার প্রেক্ষিতে এই ধারণা দৃঢ় হচ্ছে যে, জন্মের আগে বা প্রসবের সময় মায়ের শরীর থেকে সন্তানের করোনা সংক্রমণ ঘটতেই পারে। যদিও গর্ভবতী মহিলার করোনা হলে তার প্রভাব সন্তানের উপর কতটা পড়ে, বা গর্ভস্থ সন্তানের কোনও ক্ষতি হয় কি না তা নিয়ে এখনও গবেষণা বাকি। সদ্যোজাত শিশু করোনা আক্রান্ত হলে তা জটিল পর্যায়ে পৌঁছতে পারে কি না, সে ব্যাপারেও নিশ্চিত নন তাঁরা।
অন্তঃসত্ত্বা বা নতুন মায়েদের করোনা সংক্রমণ ঘটলে হাসপাতালগুলির কী করণীয়, সেই প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়েই আইসিএমআর-এর তরফে জানানো হয়, করোনা আক্রান্ত বা সন্দেহভাজন মায়েদের বাচ্চাদের থেকে আলাদা রাখতে হবে। তাঁদের আলাদা ঘরের বন্দোবস্ত করতে হবে।
গর্ভবতীদের কি করোনা সংক্রমণের সম্ভাবনা বেশি? এই অবস্থায় শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতায় পরিবর্তন আসে। ভাইরাল ইনফেকশন সহজেই ধরে নেয় শরীর। করোনার ক্ষেত্রে এর থেকে আলাদা কিছু নয়, মনে করছে আইসিএমআর। তবে মার্স ও সার্সের ক্ষেত্রে গর্ভবতীদের বেশি ঝুঁকি দেখা গিয়েছিল, বিশেষত প্রেগন্যান্সির থার্ড ট্রাইমেস্টারে। যদিও কয়েকটি ক্ষেত্রে করোনা আক্রান্ত গর্ভবতী মহিলাদের সময়ের আগে সন্তান প্রসবের ঘটনা ঘটেছে। তবে সেটা শুধু ভাইরাস-সংক্রমণের জন্যই কি না তা প্রমাণ হয়নি। তবে মহিলার যদি হার্টের অসুখ থাকে, তাহলে তার করোনা ঝুঁকি বেশি, জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
তাঁদের মতে, করোনা আতঙ্ক গর্ভাবস্থায় টেনশন ও অবসাদ বাড়ায়। তাই এই সময় হবু মায়ের মন শক্ত রাখতে তার পাশে দাঁড়ানো উচিত।
আইসিএমআরের তরফে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, এখনও অবধি পরীক্ষিত কয়েকটি কেস-এর উপর নির্ভর করেই তারা এই মতামত জানাচ্ছে। এই নির্দেশিকা ইন্টারন্যাশনাল ডিসিজ কন্ট্রোল এজেন্সি এবং পাবলিকেশন –এর তথ্য থেকে ভারতীয় প্রেক্ষাপটে প্রয়োজনীয় অংশ থেকে নেওয়া।