নয়াদিল্লি: পাকিস্তানের (Pakistan Election) নির্বাচনের ফল বেরিয়েছে। এখনও পর্যন্ত যা ফলাফল তাতে কোনও দল নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠকা পায়নি। তাহলে সরকার কীভাবে হবে? পরামর্শ দিল পাক সেনা (Pakistan Army)। পাকিস্তানের রাজনীতিতে বারবার পাক সেনার প্রভাব দেখা গিয়েছে। দেশের রাজনীতি নিয়ে সেনার তরফে মন্তব্য়ও দেখা গিয়েছে। এবারও তার ব্যতিক্রম হল না। প্রাক্তন পাক-প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফকে (Nawaz Sharif) খোলাখুলি সমর্থন করলেন পাক সেনার প্রধান আসিম মুনির (Asim Munir)। সে দেশের সব রাজনৈতিক দলগুলিকে একসঙ্গে এসে সরকার গঠনের পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। তার আগে নওয়াজ শরীফ রাজনৈতিক ময়দানে তাঁর বিরোধী দলগুলির কাছে আবেদন করেছিলেন একসঙ্গে এসে সরকার গঠনের জন্য।


পাকিস্তানের নির্বাচনে যা ফল সামনে এসেছে, তাতে সবচেয়ে বড় দল হিসেবে সামনে এসেছে নওয়াজ শরীফের পিএমএলএন (PMLN)। তার পরেই রয়েছে বিলাওয়াল ভুট্টোর পাকিস্তান পিপলস পার্টি (PPP)। কিন্তু এদের হাতে সবচেয়ে বেশি আসন নেই। এবার ১০০টিরও বেশি আসন জিতেছেন নির্দল প্রার্থীরা। যাঁদের মধ্যে অধিকাংশই ইমরান খানের দল তেহরিক ই ইনসাফ সমর্থিত নির্দল প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িছিলেন। এবার পাকিস্তানের নির্বাচনের কিছু আগে তেহরিক-ই-ইনসাফ দলকে ভোটে লড়ার থেকে বিরত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।


ফলাফল বেরনোর পরে সরকার গঠনের জন্য বিভিন্ন স্তরে উদ্যোগ শুরু হয়েছে। পিপিপি এবং মুত্তাহিদা কাওয়ামি মুভমেন্ট (MQM) -এর সঙ্গে কথা শুরু করেছেন নওয়াজ শরীফের দল। তার মধ্যেই শরীফের দলের MQM-এর প্রতিনিধি দল লাহোরে এসেছে পৌঁছেছে। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম Dawn-এর খবর অনুসারে ভাই শেহবাজ শরীফের উপর PPP, MQM, JUI-F-এর সঙ্গে কথা বলার দায়িত্ব দিয়েছেন তিনি।


এরই মধ্যে নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তুলেছেন ইমরান খানের বোন আলিমা খান। একটি সাক্ষাৎকারে তিনি দাবি করেছেন, নির্দল প্রার্থীদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে তাই তাঁদের সরকার তৈরি করতে দেওয়া উচিত। 





এরই মধ্যে পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন ৫২টি কেন্দ্রে নতুন করে ভোট নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। ১৫ ফেব্রুয়ারি সেখানে ভোট নেওয়া হবে। ওই এলাকাগুলিতে রিগিং, ভোট লুট, ভোটের বাক্সে ক্ষতি করার অভিযোগ উঠেছিল।


আরও পড়ুন: মূল্যবৃদ্ধির ধাক্কায় ছোট প্রতিমার আকার, সরস্বতী পুজোর আগে মুখভার হাওড়ার কুমোরপাড়ার