নয়া দিল্লি: খলিস্তান (Khalistan) নিয়ে নতুন কিছু ষড়যন্ত্র করতে পারে পাকিস্তান (Pakistan), সম্প্রতি এমনই কিছু তথ্য এসেছে গোয়েন্দা সংস্থার হাতে। খবর অনুযায়ী, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে থাকা খলিস্তানি সমর্থকদের মাধ্যমে পঞ্জাবকে ভারত (India) থেকে আলাদা করার ষড়যন্ত্রে যুক্ত রয়েছে পাকিস্তান। লাহোরে না কি সম্প্রতি খলিস্তানি সন্ত্রাসীদের নিয়ে একাধিক বৈঠকও করেছে পাকিস্তানের গোয়ান্দা সংস্থা আইএসআই। এও অভিযোগ করা হয়েছে, পাকিস্তান বিশ্বজুড়ে তাঁদের যে দূতাবাসগুলি রয়েছে, সেখানে হাই কমিশনের মাধ্যমে তাঁরা খলিস্তানি সমর্থক এবং সন্ত্রাসীদের সাহায্য করছে। পাশাপাশি তাঁরা অর্থ সাহায্য এবং অস্ত্র সরবরাহও  করছে যাতে ভারতে অশান্তি ছড়িয়ে পড়ে, এমনটাই অভিযোগ। 


জি মিডিয়া যে নথি প্রকাশ করেছে সেখানে বলা হয়েছে, শিখস ফর জাস্টিস নামের একটি গ্রুপ একাধিক ভুয়ো টুইটার হ্যান্ডেল তৈরি করেছে। এর মাধ্যমে খলিস্তানের গণভোটে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। সেখানে এও বলা হয়েছে, খলিস্তানি সমর্থকদের প্রায় ১৪৫০টি ভুয়ো টুইটার অ্যাকাউন্ট পাওয়া গিয়েছে। কিন্তু সেই সব প্রোফাইলের ফলোয়ার্স সংখ্যা শূন্য।  


নথিতে বলা হয়েছে, সোশাল মিডিয়ায় খলিস্তান নিয়ে যে হ্যাশট্যাগগুলি তৈরি হয়, সেগুলিকে ট্রেন্ড-এ পরিণত করতেও সাহায্য করে এই ধরনের ভুয়ো অ্যাকাউন্টগুলি। শুধু তাই নয়, গত মাসের ১০ সেপ্টেম্বর থেকে ১০ অক্টোবরের মধ্যে খলিস্তানি গণভোটের সমর্থনে প্রায় ২৯ হাজার ৩২টি টুইট হয়েছে। সেগুলি আবার বিশ্বব্যাপী প্রায় ৭৮২৬ জন রিটুইট করেছেন।  জি মিডিয়ার প্রকাশিত সেই রিপোর্টে এও বলা হয়েছে যে খলিস্তানের সমর্থনে এ মাসে প্রায় ৩৩৪টি নতুন টুইটার অ্যাকাউন্ট তৈরি করা হয়েছে। নিরাপত্তা সংস্থার সঙ্গে যুক্ত আধিকারিকদের মতে, খলিস্তান ইস্যুটিকে আরও জোরদার করতেই সন্ত্রাসবাদী এবং খলিস্তানি সমর্থকদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা।                               


তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গিয়েছে, যেসব টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে খলিস্তানের সমর্থনে টুইট করা হয়েছে তার বেশিরভাগই হিজাব ব্যান, পাকিস্তান আর্মি, কাশ্মীর সম্পর্কিত হ্যাশট্যাগ দিয়ে টুইট করা হয়েছে। অনেকের দাবি এই অ্যাকাউন্টগুলি পাকিস্তান থেকে পরিচালনা করা হচ্ছে। কানাডা, জার্মানি, আমেরিকা ও ব্রিটেনে বসে খলিস্তানিদের প্রকাশ্যে সমর্থন দিচ্ছে পাকিস্তানের আইএসআই, এমনটাও দাবি। এমনকী, পাকিস্তান সেনাবাহিনীর অনেক অবসরপ্রাপ্ত অফিসার তাঁদের টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে ক্রমাগত খলিস্তান গণভোটের সমর্থনে পোস্ট করছেন, একথাও বলা হয়েছে প্রকাশিত নথিতে।  


এছাড়াও গণভোটকে সফল করতে খলিস্তানিরা ফেসবুক, ইউটিউবের পাশাপাশি মোবাইল অ্যাপের সাহায্য নিচ্ছে। ভারতে যেমন "২০২০ শিখ গণভোট" নামে একটি মোবাইল অ্যাপকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। তবে এই মোবাইল অ্যাপটি বিশ্বের অনেক দেশে 'অ্যাক্টিভ' রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এর মাধ্যমে খলিস্তান অ্যাজেন্ডাকে জোরদার করা হচ্ছে বলে দাবি।