নয়া দিল্লি: ভারতের সঙ্গে লড়াই করতে গিয়ে নিজেদের অর্থনৈতিক অবস্থা আরও তলানিতে ঠেকেছে পাকিস্তানের। সামরিক শক্তি বৃদ্ধিতে সমস্ত অর্থ ব্যয় করতে গিয়ে আইএমএফ-এর থেকে বিরাট অঙ্কের টাকা ঋণও নিয়েছে শাহবাজ শরিফের দেশ। যা সামাল দিতে হিমসিম খাচ্ছে সে দেশের সরকার। 

সম্প্রতি বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে সতর্ক করা হয়েছে যে এই বছর পাকিস্তানের প্রায় এক কোটি মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে চলে যেতে পারে। পাকিস্তানে ক্রমাগত মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধি পাচ্ছে। অর্থাৎ, একদিকে পাকিস্তানের আর্থিক অবস্থার অবনতি হচ্ছে, অন্যদিকে, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফকে তার দেশের অর্থনীতি বাঁচাতে লড়াই করতে হচ্ছে। 

পাকিস্তান সরকার পেট্রোল ও ডিজেলের দাম বাড়িয়ে জনসাধারণের উপর বোঝা চাপিয়েছে। পেট্রোল ৪.৮০ টাকা বাড়ানো হয়েছে। এর পর থেকে পাকিস্তানে পেট্রোলের দাম এখন প্রতি লিটারে ২৫৮.৪৩ টাকা হয়েছে। একইভাবে, হাই স্পিড ডিজেলের দামও ৭.৯৫ টাকা বাড়ানো হয়েছে। এর পর থেকে পাকিস্তানে ডিজেলের দাম আকাশছোঁয়া হয়ে ২৬২.৫৯ টাকা প্রতি লিটারে পৌঁছেছে।

পেট্রোল ও ডিজেলের দাম বৃদ্ধির ফলে সেখানকার সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার উপর সরাসরি প্রভাব পড়বে।  নতুন দাম তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর হয়েছে এবং ১৫ দিন ধরে কার্যকর থাকবে। এর অর্থ হল সরকারের খালি কোষাগার পূরণের জন্য জনসাধারণের উপর বোঝা চাপিয়ে দিচ্ছে। 

এর সবচেয়ে বড় কারণ হল আইএমএফ কর্তৃক পাকিস্তানকে দেওয়া সাম্প্রতিক ঋণ, যা পাকিস্তানের উপর অনেক শর্তও আরোপ করেছে। এই শর্তে, পাকিস্তানের জন্য ঋণের একটি নির্দিষ্ট অংশ পরিশোধ করা অপরিহার্য হয়ে পড়েছে। এই অর্থ প্রদানের জন্য, পাকিস্তান সরকারের একটি বিশাল পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন, যা শুধুমাত্র জনগণের কাছ থেকে তোলা যেতে পারে। পাকিস্তানকে ঋণ দেওয়ার পর, আইএমএফ নিজেই সরকারকে তেলের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছিল। আইএমএফ বলেছিল যে পাকিস্তানের উচিত নগদে পেমেন্টকারীদের জন্য পেট্রোল এবং ডিজেলের দাম প্রতি লিটারে ২ টাকা বৃদ্ধি করা এবং যারা ডিজিটালি পেমেন্ট করেন তাদের জন্য ২ টাকা ছাড় দেওয়া।

পাক সংবাদমাধ্যম ডনের প্রতিবেদন অনুযায়ী এই মূল্যবদ্ধি যেন মানসিক ভাবে মেনে নিতে পারছেন না সে দেশের জনতা। সাইকোলজিকাল বেরিয়ার ভেঙে গেছে। বস্তুত পাকিস্তানে পেট্রল, ডিজেলের দাম অনেকটাই কম ছিল। কিন্তু সে দেশে তদারকি সরকার তৈরি হওয়ার পর পেট্রল ও ডিজেলের দাম এক ধাক্কায় ২০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।