নয়াদিল্লি: মুখোমুখি সংঘাতের অবসান ঘটলেও, আঁচ রয়ে গিয়েছে এখনও। সেই আবহেই ফের ভারতবিরোধী মন্তব্য করলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ। কাশ্মীর নিয়ে কথা বলতে গিয়ে প্যালেস্তাইনের গাজার প্রসঙ্গ তুললেন তিনি। তাহলে কি গাজার সঙ্গে কাশ্মীরের তুলনা করলেন শেহবাজ? আমেরিকা সফরের আগেই কেন এমন মন্তব্য করলেন তিনি? উঠছে প্রশ্ন। (India-Pakistan Conflict)

Continues below advertisement

লন্ডনে প্রবাসী পাকিস্তানিদের উদ্দেশে ভাষণের সময় কাশ্মীর এবং গাজার উল্লেখ করেন শেহবাজ। ভারতকে নিশানা করে তিনি বলেন, “শত্রুতা এবং প্রতিবেশী সুলভ আচরণের মধ্যে যে কোনও একটি বেছে নিতে হবে দিল্লিকে। ভারতে সঙ্গে যে আলোচনাই হোক না কেন, শর্তে হেরফের হবে না। ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধে চার চারটি যুদ্ধ হয়েছে। কোটি কোটি টাকা খরচ হয়েছে, যা মানুষের উন্নয়ন এবং সমৃদ্ধিতে খরচ হতে পারত। আমরা শান্তি চাই।” (Shehbaz Sharif)

কাশ্মীর সমস্যার সনাধান না হওয়া পর্যন্ত ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নতির সম্ভাবনা নেই বলেও জানান শেহবাজ। তাঁকে বলতে শোনা যায়, “ভারত এবং পাকিস্তান পরস্পরের প্রতিবেশী। সহাবস্থান শিখতে হবে আমাদের। কিন্তু কাশ্মীর সমস্যার সমাধান না হওয়া পর্যন্ত সম্পর্ক স্বাভাবিক হবে না। কাশ্মীরিদের রক্ত বৃথা যাবে না। কাশ্মীর সমস্যার সমাধান ছাড়াই সব ঠিক হয়ে যাবে বলে যদি কেউ ভেবে থাকেন, তাহলে মূর্খের স্বর্গে বাস করছেন।” আর এর পরই বক্তৃতায় গাজার উল্লেখ করেন শেহবাজ। তিনি বলেন, “গাজায় ৬৪ হাজারের বেশি মানুষ আত্মবলিদান দিয়েছেন। তাঁদের খাবার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, নিত্য প্রয়োজনের সামগ্রী ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। রোজগারের রাস্তাও বন্ধ হয়ে গিয়েছে।” 

Continues below advertisement

কাশ্মীর নিয়ে কথা বলার সময় হঠাৎ গাজার প্রসঙ্গ টানলেন কেন শেহবাজ, সেই নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। যে সময় তিনি এই মন্তব্য করলেন, তাও গুরুত্বপূর্ণ। রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সভায় যোগ দিতে আমেরিকা যাওয়ার কথা শেহবাজের। সেখানে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক রয়েছে তাঁর। মুসলিম দেশের রাষ্ট্রনেতাদের সঙ্গেও দেখা করবেন। ২২ থেকে ২৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আমেরিকাতেই থাকবেন শেহবাজ। 

পহেলগাঁও হামলার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সংঘাত দেখা দেয়, সেই সময় ট্রাম্পের মুখেও কাশ্মীরের কথা উঠে আসে। জানান, কাশ্মীর সমস্যার সমাধানে তিনি মধ্যস্থতা করতে রাজি। ভারত যদিও সেই প্রস্তাব পত্রপাঠ খারিজ করে দেয়। পরিষ্কার ভাষায় জানিয়ে দেওয়া হয়, কাশ্মীর নিয়ে কোনও তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপ বরদাস্ত করা হবে না। সেটি ভারত ও পাকিস্তানের দ্বিপাক্ষিক বিষয়। তাহলে কি পাকিস্তান এখন কাশ্মীর নিয়ে খুঁচিয়ে ঘা করতে চাইছে? শেহবাজের মন্তব্যে তেমনই ইঙ্গিত দেখছেন অনেকে।