কলকাতা : পাকিস্তানে রাজনৈতিক সঙ্কট (Political Crisis)। ইমরান খান-সরকারের (Imran Khan Government) পতনের পর শাহবাজ শরিফকেই পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মনোনীত করেছেন বিরোধীরা। এদিকে ইমরান সরকারের পতনের পরেও পাকিস্তানে টানটান নাটক। বেআইনি লেনদেন মামলায় শাহবাজকে সমন পাঠিয়েছে লাহৌর হাইকোর্ট। এই পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে  প্রাক্তন সেনা কর্তা ব্রিগেডিয়ার দেবাশিস দাস বলছেন, পাকিস্তানে গণতন্ত্র বলে কিছু নেই। সেনাবাহিনী দ্বারাই নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে ইসলামাবাদ। 


মধ্যরাতে পাকিস্তানে (Pakistan) ইমরান খান-সরকারের পতন। অনাস্থা প্রস্তাবে হয় ভোটাভুটি। হারেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। ৩৪২ জন সাংসদের মধ্যে বিরোধীদের পক্ষে পড়ে ১৭৪টি ভোট। পাকিস্তানে টালমাটাল পরিস্থিতির মধ্যেই ইস্তফা দেন পাক অ্যাটর্নি জেনারেল। 


আরও পড়ুন ; মেয়াদ সম্পূর্ণ করতে ব্যর্থ ইমরানও, স্বাধীনতার ৭৫ বছরে ২২ 'অসফল' প্রধানমন্ত্রী পাকিস্তানের


ভোটাভুটির ফল প্রকাশের আগেই কপ্টারে ইসলামবাদ ছাড়েন ইমরান। ভোটাভুটির আগেই ইস্তফা দেন স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার। পাক সংসদ থেকে ওয়াকআউট করেন ইমরানের পার্টির সাংসদরা। অনাস্থা ভোটে অংশগ্রহণ করেন শুধুমাত্র পাক বিরোধী দলের সাংসদরা। লুঠেরাদের হাতে চলে গেল দেশ, ট্যুইট করেন বিদায়ী পাক তথ্য সম্প্রচার মন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরীর।


এদিকে এই পরিস্থিতিতে শাহবাজ শরিফকেই পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মনোনীত করেছেন বিরোধীরা। পাকিস্তানের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মনোনয়ন দাখিল করেন শাহবাজ। পরবর্তী পাক প্রধানমন্ত্রী পদে শাহবাজের শরিফকে নিয়ে জল্পনার মধ্যেই বড় ট্যুইস্ট ইসলামাবাদে। বেআইনি লেনদেন মামলায় শাহবাজকে সমন পাঠায় লাহৌর হাইকোর্ট। কালই ছেলে সহ শাহবাজ শরিফকে তলব। কালই দুপুর দুটোয় পরবর্তী পাক প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন । প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ১৮ অগস্ট পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন ইমরান। ২০২৩ সালে মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল। শনিবার আস্থাভোটে পরাজিত হয়ে ক্ষমতাচ্যূত হলেন।


ইমরান খান-সরকারের পতনের পর পাকিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের জন্য ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে ভোটাভুটি রয়েছে সোমবার।