দক্ষিণ ২৪ পরগনা: মগরাহাটে (Magrahat Twin Murder) জোড়া খুনে পাকড়াও মূল অভিযুক্ত জানে আলম (Jaane Alam)। গাড়ি করে পালানোর সময় টালিগঞ্জ থেকে গ্রেফতার (Arrest)। সিভিক ভলান্টিয়ার বরুণ চক্রবর্তী ও মলয় মাখালকে খুনে পর থেকেই ফেরার ছিলেন। ২৪ ঘণ্টা গা ঢাকা দেওয়ার পর পুলিশের জালে পাকড়াও। তিনি প্রথমে বরুণ চক্রবর্তী এবং মলয় মাখালের মাথার পিছনে গুলি করেন এবং পরে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করেন বলে ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে বলা হয়েছে।
কলকাতার টালিগঞ্জ থেকে গ্রেফতার জানে আলম
রবিবার ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে আসার পর জানা যায়, মগরাহাটে সিভিক ভলান্টিয়ার বরুণ চক্রবর্তী এবং তাঁর বন্ধু বস্ত্র ব্যবসায়ী মলয় মাখালকে প্রথমে মাথার পিছনে গুলি করা হয়। এর পর মৃত্যু নিশ্চিত করতে ধারাল অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপানো হয় দু’ জনকেই, দাবি পুলিশের। জোড়া খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত জানে আলম মোল্লার স্ত্রী-সহ ৬ জনকে আটক করেছে পুলিশ। এ দিন মগরাহাটে নিহত সিভিক ভলান্টিয়ার বরুণ চক্রবর্তীর বাড়িতে যান জয়নগরের তৃণমূল সাংসদ প্রতিমা মণ্ডল এবং মগরাহাট পূর্বের বিধায়ক নমিতা সাহা।
আরও পড়ুন: Magrahat Twin Murder: মাথার পিছনে গুলি, তার পর এলোপাথাড়ি কোপ, মগরাহাট খুনে নয়া তথ্য
ফোন করে ডেকে নৃশংস ভাবে খুন দু'জনকে
সেখানে জোড়া খুনের ২৪ ঘণ্টা পরেও কেউ গ্রেফতার না হওয়ায়, তাঁদের সামনে ক্ষোভ উগরে দেন গ্রামবাসীরা। তার আগে এ দিন সকালে পথ অবরোধেরও চেষ্টা করেন গ্রামবাসীরা। পুলিশ বাধা দিলে উত্তেজনা ছড়ায়। পুলিশের ধস্তাধস্তি হয়। লাঠি উঁচিয়ে জমায়েত হঠায় পুলিশ। পরে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে না পারলে পথে নেমে প্রতিবাদের হুঁশিয়ারি দেয় নিহতদের পরিবার। অশান্তির আশঙ্কায় মোতায়েন করা হয় প্রচুর পুলিশ। তার পরই আলমের গ্রেফতার হওয়ার খবর সামনে আসে।
মগরাহাট খুন নিয়ে এখনও পর্যন্ত যে তথ্য সামনে এসেছে, সেই অনুযায়ী, টাকা ফেরত দেওয়ার নাম করে কারখানায় ডেকে সিভিক ভলান্টিয়ার এবং তাঁর বন্ধুকে কুপিয়ে খুন করা হয়। এই ঘটনায় কাঠগড়ায় স্থানীয় ব্যবসায়ী।
এই নৃশংস এই ঘটনা ঘিরে গতকাল রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে দক্ষিণ ২৪ পরগনার মগরাহাটের মাগুরপুকুর। পলাতক অভিযুক্ত। আর্থিক লেনদেন নিয়ে বিবাদের জেরেই এই ঘটনা, সিনিয়র অফিসাররা তদন্ত করছেন বলে ট্যুইট করে জানিয়েছে রাজ্য পুলিশ।