নয়াদিল্লি: পাকিস্তান ‘ভারতের চর’ সন্দেহে কুলভূষণ যাদবকে সাজানো অভিযোগে বেআইনি ভাবে আটকে রেখেছে বলে অভিযোগ করে অবিলম্বে তাঁর মুক্তি চাইলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। তাঁকে ভারতে পাঠাতে ইসলামাবাদকে আবেদন করেছেন তিনি। গতকালই কুলভূষণকে বিরাট স্বস্তি দিয়ে পাকিস্তানের সামরিক আদালতে তাঁর বিচারকে কার্যত প্রহসন বলেছে আন্তর্জাতিক ন্যায় আদালত (আইসিজে)। পাক সামরিক আদালত প্রাক্তন ভারতীয় নৌবাহিনীর অফিসারকে ‘চরবৃত্তি ও সন্ত্রাসবাদে’ দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ড দেয়। আইসিজে গতকাল রায় দেয়, মৃত্যুদণ্ডের রায় পাকিস্তানকে অবশ্যই পুনর্বিবেচনা করতে হবে।
রাজ্যসভায় আজ বিবৃতি দিয়ে জয়শঙ্কর বলেন, আন্তর্জাতিক ন্যয় আদালতের রায় একা কূলভূষণ নন, আইনের শাসনে বিশ্বাসী, এমন সকলকেই সঠিক বলে প্রতিষ্ঠা করল।
গতকাল ন্যয় বিচার আদালতের প্রধান বিচারক আবদুলকাউই আহমেদ ইউসুফের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ ‘কুলভূষণ সুধীর যাদবকে দোষী সাব্যস্ত করে দেওয়া রায় ও সাজা ঘোষণার কার্যকরী রিভিউ ও পুনর্বিবেচনার নির্দেশ দেয়’। কুলভূষণের গ্রেফতারির পর ভারতীয় কনস্যুলেটকে তাঁর সঙ্গে দেখা করার অধিকারও পাকিস্তান লঙ্ঘন করেছে বলে ১৫-১ ভোটে জানিয়েছে ন্যয় বিচার আদালত। বিচারকরা বলেছেন, আটক অবস্থায় কুলভূষণের সঙ্গে দেখা করা, তাঁকে আইনি সহায়তা দেওয়ার ব্যবস্থা করার অধিকার থেকেও ভারতীয় কনস্যুলেটকে বঞ্চিত করেছে পাকিস্তান। কিন্তু পাকিস্তানের ভিয়েনা কনভেনশনের চলতি রীতি অনুসারে পাকিস্তানের দায়িত্ব ছিল কুলভূষণের ধরা পড়া, তাঁকে আটকে রাখার ব্যাপারে ভারতকে অবহিত করা।