পাকিস্তানের একের পর ক্ষেপণাস্ত্র, ড্রোন হামলার চেষ্টা ব্যর্থ করেছে ভারত। পাকিস্তানের একের এক শহরকে দুর্মুষ করা হচ্ছে। এদিকে, আমেরিকার বিদেশসচিব মার্কো রুবিও পাকিস্তানকে তিরস্কার করেছেন। আমেরিকা স্পষ্ট বলে দিয়েছে, এখনই পাকিস্তানকে সন্ত্রাসবাদ বিরোধী কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। জঙ্গিদের প্রশ্রয় - আশ্রয় দেওয়া বন্ধ করতেই হবে। 

আমেরিকার বিদেশসচিব বলেছেন, পাকিস্তানকে সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন করা বন্ধ করতে হবে। আমেরিকার বিদেশ দফতরের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস বলেছেন, " আমেরিকা জানিয়ে দিয়েছে.  আমরা চাই ভারত ও পাকিস্তান এই বিষয়ে দায়িত্বশীল সমাধানের পথে এগোক।।"

পাকিস্তান বৃহস্পতিবার (৮ মে ২০২৫) জম্মু, পাঠানকোট ও উধমপুরের সামরিক ঘাঁটিতে যে কয়টি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর চেষ্টা করেছিল, সবকটির প্রয়াসই ব্যর্থ করা হয়েছে। ভারতীয় এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম আকাশেই সব পাকিস্তানি ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন ধ্বংস করে দিয়েছে। এর পর ভারত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে পাল্টা হামলা শুরু করে ভারত। 

এর আগে আমেরিকার মার্কো রুবিও এস জয়শঙ্করের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছিলেন। তিনি ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কের মধ্যে দ্রুত উত্তেজনা কমানোর প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়েছিলেন। এ সময় এস জয়শঙ্কর সীমান্ত পারাপার সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের পদক্ষেপের কথা জানিয়েছিলেন। 

রেডিও পাকিস্তানের মতে, আমেরিকার মার্কো রুবিও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফকেও ফোন করেছিলেন এবং দক্ষিণ এশিয়ার অশান্ত পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন। রুবিও বলেন, আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়ার পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে, কারণ তারা এই অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বৃদ্ধির জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। রুবিও এই বিষয়েও জোর দেন যে, পাকিস্তান ও ভারত উভয়কেই উত্তেজনা কমাতে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। 

অন্যদিকে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট বলেছেন, " আমরা এই দেশগুলিকে তো নিয়ন্ত্রণ করতে পারি না। মূলত, ভারতের পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যথেষ্ট অভিযোগ আছে। ... আমরা যা করতে পারি, তা হল উত্তেজনা কিছুটা কমানোর কথা বলতে পারি। কিন্তু আমরা এমন কোনও যুদ্ধে জড়িত হব না যা মূলত আমাদের কাজ নয় এবং আমেরিকার ক্ষমতা নেই তা নিয়ন্ত্রণ করার " বলেন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট। 

উল্লেখ্য ভ্যান্স, তাঁর স্ত্রী উষা ভ্যান্স এবং তাদের তিন সন্তান নিয়ে ভারত সফরে এসেছিলেন । তখনই,  ২২ এপ্রিল, জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওতে সন্ত্রাসবাদীরা  ধর্ম বেছে বেছে  ২৬ জনকে হত্যা করে। তারপরই উত্তেজনা চরমে ওঠে। জবাবে 'অপারেশন সিঁদুর' শুরু করে ভারত।