নয়া দিল্লি: সীমান্তে পাক উস্কানি অব্যাহত আজও। পাক অধিকৃত কাশ্মীরে অস্ত্র প্রশিক্ষণ দিচ্ছে পাক সেনা, সেই ছবিই প্রকাশ্যে এসেছে। দেখা গিয়েছে, সুধানৌতি এলাকায় সাধারণ মানুষকে অস্ত্র প্রশিক্ষণ দিচ্ছে পাক সেনাবাহিনী। এদিকে এরই মধ্যে সীমান্তে টানটান উত্তেজনার মধ্যেই আবদালি ওয়েপন সিস্টেম পরীক্ষা করল পাকিস্তান। ভূমি থেকে ভূমি ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করল পাকিস্তান।
শনিবার 'আবদালি' নামে এই ভূমি থেকে ভূমি ক্ষেপণাস্ত্রটি সামরিক মহড়া 'এক্সারসাইজ ইন্দাস'-এর অংশ হিসেবে পরীক্ষা করা হয়েছে। এই ক্ষেপনাস্ত্র ৪৫০ কিমি দূরের লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস করতে পারবে। সোনমিয়ানি রেঞ্জে পরিচালিত এই পরীক্ষাটি সম্ভবত আর্মি স্ট্র্যাটেজিক ফোর্সেস কমান্ড (এএসএফসি)-এর অধীনে পরিচালিত একটি অপারেশনাল ইউজার ট্রায়ালের অংশ ছিল, যা পাকিস্তানের পারমাণবিক-সক্ষম ক্ষেপণাস্ত্র পরিচালনা করে।
এক বিবৃতিতে, পাকিস্তানি সেনাবাহিনী জানিয়েছে যে উৎক্ষেপণটি "সৈন্যদের অপারেশনাল প্রস্তুতি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে" এই মহড়া করা হয়েছে। যাতে যেকোনও আগ্রাসনের বিরুদ্ধে বিশ্বাসযোগ্য ন্যূনতম প্রতিরোধ নিশ্চিত করা যায় এবং জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষা করা যায়।
এ দিনের মহড়া সেনাবাহিনীর স্ট্র্যাটেজিক ফোর্সেস কমান্ডের কমান্ডার, স্ট্র্যাটেজিক প্ল্যানস ডিভিশন, আর্মি স্ট্র্যাটেজিক ফোর্সেস কমান্ডের ঊর্ধ্বতন কর্তাদের পাশাপাশি বিজ্ঞানী এবং প্রযুক্তিবিদরাও প্রত্যক্ষ করেছেন।
এদিকে, পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার বদলা নিতে জলে-স্থলে-আকাশে চাপ বাড়াচ্ছে ভারত। নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে কাশ্মীর উপত্যকা। ৬০-৭০টি সেনা কনভয় পাঠানো হচ্ছে। বদগামের রাস্তায় মোতায়েন করা হয়েছে ৭৩ নম্বর CRPF ব্যাটেলিয়ন। পাকিস্তানের যুদ্ধবিমান, কপ্টার, ড্রোন ধ্বংসে এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম শর্ট রেঞ্জ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমকে আরও শক্তিশালী করতে অস্ত্রের বরাত। ভারতীয় সেনার জন্য আরও রকেট লঞ্চার, ক্ষেপণাস্ত্রের বরাত। ৪৮টি রকেট লঞ্চার, ৮৫ মিশাইলের বরাত দিল ভারতীয় সেনা, এমনটাই খবর সূত্রের। শনিবার সকালে ও রাতে দু’দফায় গঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের মাঝে সাড়ে তিন কিলোমিটার লম্বা এয়ারস্ট্রিপে কান ফাটানো আওয়াজে ‘ল্যান্ড অ্যান্ড গো ফ্লাইপাস্ট’ করে বায়ুসেনার বিভিন্ন ফাইটার জেট, হেলিকপ্টার। রাফেল, সুখোই এসইউ ৩০ এমকেআই, বালাকোটে এয়ারস্ট্রাইক করা মিরাজ ২০০০, মিগ ২৯, জাগুয়ার, সি-১৩০ জে সুপার হারকিউলিস, এএন ৩২, এমআই-১৭ হেলিকপ্টারও এদিন অংশ নিয়েছে মহড়ায়।
পহেলগাঁওকাণ্ডের পর থেকেই টানা ৯ দিন ধরে বিনা প্ররোচনায় নিয়ন্ত্রণরেখার ওপার থেকে গুলি ছুড়ছে পাক সেনা। পাল্টা জবাব দিচ্ছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। বিভিন্ন জায়গায় নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। জম্মু কাশ্মীরের পর্যটনস্থল, ধর্মীয় স্থানগুলিতে মোতায়েন করা হয়েছে বাহিনী।