নয়াদিল্লি ও শ্রীনগর: গত ৫ অগাস্ট, জম্মু ও কাশ্মীরে কেন্দ্র সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ প্রত্যাহার করার পর থেকেই পাকিস্তানের যেন রাতের ঘুম উড়ে গিয়েছে। ভারতে ছায়াযুদ্ধ চলানো পাকিস্তানের কাছে কেন্দ্রের ওই সিদ্ধান্ত বিনা মেঘে বজ্রপাত ছিল। যেনতেন প্রকারে যাবতীয় আন্তর্জাতিক মঞ্চে কাশ্মীর ইস্যু উত্থাপন করে পাকিস্তান। কিন্তু, প্রতিবারই তাদের খালি হাতে ফিরতে হয়।
৫ অগাস্টের সিদ্ধান্তের পর কাশ্মীরে যাতে কোনওপ্রকার অনভিপ্রেত ঘটনা না ঘটে ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির যাতে কোনও অবনতি না ঘটে, তার জন্য উপত্যকায় যাবতীয় মোবাইল পরিষেবা রদ করে দেয়  কেন্দ্রীয় সরকার। পাশাপাশি, উপত্যকার বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতাদের গৃহবন্দি করে রাখা হয়।
কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সূত্রের দাবি, এই পরিস্থিতিতে উপত্যকায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা সমব্যথী ও স্থানীয় জঙ্গিদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে কাশ্মীরে তাদের বিভিন্ন সূত্র মারফৎ স্যাটেলাইট ফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ করত পাকিস্তান।
গোয়েন্দা রিপোর্ট অনুযায়ী, ৫ অগাস্ট থেকে ৫ সেপ্টেম্বর-- এই একমাসে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর মারাত্মক হারে স্যাটেলাইট ফোনের ব্যবহার বৃদ্ধি পেয়েছিল।
গোয়েন্দাদের আরও দাবি, নিয়ন্ত্রণরেখার কাছের অঞ্চলগুলিতে ‘এফএম’ স্টেশন চালু ছিল। তার মাধ্যমে পাক জঙ্গি ও কাশ্মীরি উগ্রপন্থীদের মধ্যে বিভিন্ন কথোপকথন ও বক্তব্যের আদান-পু্রদান হয়েছিল।