নয়াদিল্লি: পূর্ব লাদাখ সীমান্তে যে সময় ভারত ও চিনের মধ্যে সংঘাতের আবহ রয়েছে, ঠিক সেই সময়ে পশ্চিম লাদাখ সীমান্ত লাগোয়া পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের গিলগিট-বালতিস্তানে বাহিনী মোতায়েন বাড়াল পাকিস্তান। কেন্দ্রীয় সূত্রের খবর, গিলগিট-বালতিস্তানে প্রায় ২০ হাজার বাড়তি সেনা পাঠিয়েছে পাকিস্তান। লক্ষ্য, চিনা বাহিনীকে সহায়তা প্রদান করা।
কেন্দ্রীয় সূত্রের খবর, ভারতের ওপর উভয়মুখী যুদ্ধের ফ্রন্ট খুলে হামলা চালাতে বেশ কিছুদিন ধরেই ষড়যন্ত্র করছে চিন ও পাকিস্তান। একদিকে, যখন চিন লাদাখের পূর্বদিকে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় সেনা মোতায়েন করেছে। সেখানেই পশ্চিম প্রান্তে নিয়ন্ত্রণরেখায় বাহিনী পাঠিয়ে ভারতের ওপর চাপসৃষ্টির কৌশল নিয়েছে চিনের সব মরশুমের বন্ধু পাকিস্তান।
এদিকে, সামনা-সামনি সংঘাতের পাশাপাশি ভারতে নাশকতামূলক কার্যকলাপ বৃদ্ধি করতে উদ্যত হয়েছে চিন। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সূত্রে প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, পাকিস্তানের একাধিক জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গেও এই সময় যোগাযোগ করেছে চিন। জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই আল-বাদর জঙ্গিগোষ্ঠীর সঙ্গে বৈঠক হয়েছে।
পাকিস্তান ও চিনের এই জোড়া কুচক্রের মোকাবিলা ঠিক কীভাবে করা যায়, সেই নিয়ে দফায় দফায় বৈঠক হয়েছে ভারতীয় সেনা ও কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের মধ্যে। গোয়েন্দারা নিশ্চিত, চিনের টোপ সহজেই গিলেছে পাকিস্তান। এখন বেজিংয়ের কথা মতো, ভারতে আরও বেশি সংখ্যক কট্টর জঙ্গিদের অনুপ্রবেশ ঘটাতে চাইছে তারা।
কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের দাবি, জঙ্গিদের পাশাপাশি, ভারতে নাশকতার জন্য বর্ডার অ্যাকশন টিম (ব্যাট)-কেও এগিয়ে দিতে উদ্যোগী হয়েছে পাকিস্তান। সূত্রের খবর, ভারতে ইতিমধ্যে প্রায় ১০০ পাক জঙ্গি অনুপ্রবেশ করে আত্মগোপন করে রয়েছে। তারা এখন স্থানীয় কাশ্মীরি জঙ্গিদের সঙ্গে ফের নতুন করে যোগাযোগ স্থাপন করছে। লক্ষ্য, জম্মু ও কাশ্মীরে ফের আত্মঘাতী হামলার ছক কষা।
সূত্রের খবর, জম্মু ও কাশ্মীরে এখন এই জঙ্গিদের লক্ষ্য সেনা কনভয় থেকে শুরু করে সামরিক প্রতিষ্ঠান, ঘাঁটি, ছাউনি ও শিবিরে হামলা চালানো। তবে, তাদের এই ছক বানচাল করতে তৎপর দেশের নিরাপত্তা বাহিনীও। গোটা উপত্যকা জুড়ে চিরুনি-তল্লাশি চালানো হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত চলতি বছরে ১২০ জন জঙ্গিকে নিকেশ করেছে বাহিনী। তবে, অধিকাংশ স্থানীয় কাশ্মীরি। এই তালিকায় হাতেগোনা পাক জঙ্গি রয়েছে।