নয়াদিল্লি: ট্যুইটারের চিফ এক্জিকিউটিভ অফিসার পদ থেকে জ্যাক ডরসি পদত্যাগ করতেই তার জায়গায় নিয়োগ করা হল ভারতীয় বংশোদ্ভূত পরাগ আগরওয়ালকে। এদিন সরকারিভাবে এই ঘোষণা করেছে মাইক্রো ব্লগিং সাইট ট্যুইটার। জেনে নিন, কোন যোগ্যতা বলে বিশ্বের অন্যতম সেরা সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মের দায়িত্ব পেলেন পরাগ। 



ভারতীয় বংশোদ্ভূত পরাগের কেরিয়ারগ্রাফ বলছে, ২০১১সালে ট্যুইটারে কাজ শুরু করেন তিনি। সেই সময় সোশ্যাল মিডিয়া জায়ান্টের চিফ টেকনোলজি অফিসার (CTO) হিসাবে নিয়োগ করা হয় তাঁকে। ২০১৭ সাল পর্যন্ত টানা এই দায়িত্ব সামলান পরাগ। চিফ টেকনোলজি অফিসার হিসাবে দায়িত্ব পালনের সময় তাঁক মাইক্রো ব্লগিং প্লাটফর্মের টেকনিক্যাল স্ট্র্যাটেজি, মেশিন লার্নিং, আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্সের সম্পর্কে খুঁটিনাটি জানতে হয়। প্রযুক্তিগত দায়িত্ব সামলানোর পাশাপাশি তাঁকে গ্রাহক ও কোম্পানির আয়-ব্যয় ও সায়েন্স টিমের সঙ্গেও কাজ করতে হয়। যা পরাগকে সমৃদ্ধ করে। কোম্পানির ট্যুইটার লিডারশিপ পেজেই রয়েছে পরাগ সম্পর্কে এই নথি।


এদিকে ট্যুইটারের সিইও-র দায়িত্ব পরাগের হাতে যাওয়ায় মুখ খুলেছেন সদ্য প্রাক্তন সিইও জ্যাক ডরসি। এক বিবৃতিতে ডরসি বলেছেন, ''ট্যুইটারের সিইও হিসাবে পরাগকে আমি গভীরভাবে বিশ্বাস করি। গত ১০ বছরে ধরে ও যে কাজ করছে তা 'ট্রান্সফরমেশনাল'। এবার সময় হয়েছে ওর নেতৃত্ব দেওয়ার।'' 


তবে ডরসি পরাগকে সিইও পদে নিয়োগ করতেই ধন্যবাদ জ্ঞাপন করতে ভোলেননি এই 'ইন্ডিয়ান-আমেরিকান'। বিবৃতিতে পরাগ বলছেন,  ''সারা বিশ্ব এখন আগের থেকে অনেক বেশি আমাদের দিকে দেখছে। আজকের এই খবর নিয়ে বহু মানুষের মনে নানা ধারণার জন্ম হয়েছে। আমাদের খবর নিয়ে তাদের দৃষ্টিভঙ্গিও আলাদা। কারণ তাঁরা ট্যুইটার ও তার ভবিষ্যতের বিষয়ে চিন্তা করেন। তাদের এই চিন্তা আমাদের কাছে একটা সংকেত। আমরা যাই করি না কেন তা তাদের একটা বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। এবার দেখিয়ে দিন ট্যুইটারের পুরো ক্ষমতা !"