হায়দরাবাদ: ফের "অনার কিলিং"-এর ছায়া। এবার তেলঙ্গানায়। ভিনজাতের ছেলের সঙ্গে প্রেম ও তার জেরে অন্তঃসত্ত্বা হওয়া মেনে নিতে না পেরে, ২০ বছরের তরুণী কন্যাকে হত্যার অভিযোগ উঠল বাবা-মায়ের বিরুদ্ধেই।


অভিযোগ, রাজ্যের জগুলম্বা-গড়ওয়াল জেলার কালুকুন্তলা গ্রামের বাসিন্দা ওই তরুণীকে হত্যা করে তাকে স্বাভাবিক মৃত্যু বলেও চালানোর চেষ্টা করেন বাবা-মা। পুলিশের কাছে দাবি করেন, তাঁদের মেয়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন।


যদিও, শেষরক্ষা হয়নি। কলেজ পড়ুয়া তরুণীর মৃত্যু নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন গ্রামের সচিব। নিহতের দেহে কয়েকটি আঘাত ও ধস্তাধস্তির চিহ্ন দেখে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ নিয়ে সন্দেহ জাগে পুলিশেরও।


পুলিশ তদন্ত শুরু করে। আরও বিভিন্ন সূত্র থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হয়। সন্দেহের তির যায় নিহতের বাবা-মায়ের দিকেই। এরপরই, নিহত তরুণীর বাবা-মাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।


পুলিশের দাবি, ধৃতেরা জেরার মুখে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। নিহত তরুণী পরিবারের তিন মেয়ের মধ্যে কনিষ্ঠ। সম্প্রতি,তাঁরা জানতে পারেন, তরুণীর সঙ্গে এক ভিনজাতের ছেলের প্রেম রয়েছে। শুধু তাই নয়। তাঁদের মেয়ে যে অন্তঃসত্ত্বা সেই কথাও জানাজানি হয়।


পুলিশের দাবি, প্রথমে গর্ভপাতের জন্য তরুণীর ওপর চাপসৃষ্টি করা হয়। কিন্তু, তরুণী তাতে রাজি না হওয়ায়, গত ৭ তারিখ সকালে ঘরের মধ্যেই মুখে বালিশ চাপা দিয়ে অন্তঃসত্ত্বা কিশোরী মেয়েকে হত্যা করেন তাঁর বাবা ও মা। তাঁদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ সহ একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।