নয়াদিল্লি : আদানি ( Gautam Adani ) আজও উত্তাল সংসদ। এদিনও বিরোধীরা এককাট্টা  যৌথ সংসদীয় কমিটি ( JPC ) গড়ার দাবি নিয়ে। যৌথ সংসদীয় কমিটি বা সুপ্রিম কোর্টের নজরদারিতে তদন্ত হোক আদানি ইস্যুর। বৃহস্পতিবারের পর শুক্রবারেও আদানি ইস্যুতে সংসদে আলোচনা ও তদন্তের দাবিতে বিরোধীদের হইহট্টগোল হয়। দুপুর ২টো পর্যন্ত স্থগিত হয়ে গিয়েছে লোকসভার অধিবেশন। 


অন্যদিকে দুপুর আড়াইটে পর্যন্ত স্থগিত রাজ্যসভার অধিবেশন। তবে উল্লেখযোগ্য হল, বৃহস্পতিবার থাকলেও পরদিন দিল্লিতে বিরোধীদের বৈঠকে নেই তৃণমূল। মল্লিকার্জুন খাড়গের ডাকে বিরোধী-বৈঠকে রয়েছে ১৬টি দল। ছিল না তৃণমূল। 
কংগ্রেস ( Congress ) ,  ডিএমকে (DMK ), সমাজবাদী পার্টি ( Samajwadi Party ) , আম আদমি পার্টি ( Aam Aadmi Party ), ভারত রাষ্ট্র সমিতি ( Bharat Rashtra Samithi ), শিবসেনা ( Shiv Sena ) , রাষ্ট্রীয় জনতা দল ( Rashtriya Janata Dal), জনতা দল ইউনাইটেড ( Janata Dal United ), সিপিএম ( CPIM), সিপিআই ( CPI ) , এনসিপি ( NCP ) , ন্যাশনাল কনফারেন্স ( National Conference ), ইন্ডিয়ান ইউনিয়ন মুসলিম লীগ ( Indian Union Muslim League ) , কেসি (Jose Mani), কেসি ( Thomas) and আসএসপি ( RSP ) খাড়গের সঙ্গে দেখা করেন। 

আরও পড়ুন :


কারচুপির অভিযোগ ঘিরে পরিস্থিতি উত্তাল, শেয়ার বাজারে লাগাতার ধস, সেরা ১০ ধনকুবেরের তালিকায় নেই আদানি


বৃহস্পতিবার, রাজ্যসভার বিরোধী দলীয় নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে অন্যান্য বিরোধী দলগুলির সঙ্গে যৌথ সংসদীয় কমিটি বা সুপ্রিম কোর্টের নজরদারিতে তদন্তের দাবি তোলা হয়। বৃহস্পতিবার বৈঠকে ছিল তৃণমূল।   


শুক্রবারও সকালে শেয়ারবাজার খুলতে না খুলতেই টালমাটাল শুরু হয়ে যায় আদানি গোষ্ঠীর সবকটি স্টকে। ফের ২৫ শতাংশ ধাক্কা লাগে আদানি এন্টারপ্রাইজের শেয়ারদরে। গত ২৪ ঘণ্টা ধরেই গৌতম আদানির নেতৃত্বাধীন সংস্থাটির শেয়ারদরে রক্তক্ষরণ চলছিল। সার্বিক ধাক্কায় বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ১০ হাজার কোটি ডলারেরও বেশি মার্কেট ভ্য়ালু খুইয়েছে তারা। কিন্তু তার পরেও লাগাম পরানো যায়নি রক্তক্ষরণে। শেয়ার বাজার নিয়ে যাঁরা নাড়াচাড়া করেন, তাঁদের বিশ্লেষণ এর নেপথ্য়ে মূল কারণ  হিন্ডেনবার্গ রিপোর্ট। 


এই রিপোর্টে জানা যায়, আদানির বিভিন্ন সংস্থাকে বিপুল পরিমাণ ঋণ দিয়েছে দেশের বিভিন্ন রাষ্ট্রায়াত্ত এবং বেসরকারি ব্যাঙ্ক। আদানি গোষ্ঠীতে এলআইসি, স্টেট ব্যাঙ্কেরও বড় অঙ্কের বিনিয়োগ রয়েছে বলে জানা যায়। বিষয়টি প্রমাণিত হলে ভারতের বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সেবি-র ভূমিকাও যে প্রশ্নের মুখে পড়বে, তা স্পষ্ট হয়ে যায়। আর এর ফলে বহু সাধারণ মানুষের গচ্ছিত পুঁজির ভবিষ্যৎ সংশয়ের মুখে পড়তে পারে বলে মনে করছে বিরোধীরা।