নয়াদিল্লি :  বিরোধীদের ( opposition ) শোরগোলে বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় পর্যায়ের (Parliament Budget Session  প্রথম দিনেই মুলতুবি লোকসভা । রাহুল গান্ধীর একটি বক্তব্য ঘিরে উত্তাল হয় লোকসভা। সোমবার থেকে বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় পর্ব শুরু হয়েছে যা চলবে ৬ এপ্রিল পর্যন্ত। আশঙ্কা মতোই লোকসভায় বিরোধী দল ও শাসক দলের মধ্যে তুমুল হট্টগোল শুরু হয়ে যায় অধিবেশনের শুরুতে। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর বক্তব্যকে ঘিরে প্রথমেই আক্রমণ শানান প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ।


"আমার ফোন কল রেকর্ড করা হচ্ছে।" - এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ তুলেছিলেন রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। ভারত জোড়ো যাত্রা (Bharat Jodo Yatra) পরই রাহুল পৌঁছে গিয়েছিলেন ব্রিটেনে কেমব্রিজে। কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে (Cambridge University) একটি সেমিনারে বক্তব্য পেশ করেন তিনি। আর সেখানেই তিনি এই অভিযোগ তোলেন। এই নিয়ে লোকসভা উত্তাল হয়। পরে দুপুর ২ টো অবধি সভা মুলতুবিও হয়ে যায়। 


লোকসভায় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ বলেন, এই সংসদের সদস্য রাহুল গান্ধী লন্ডনে গিয়ে ভারতকে অপমান করেছেন। রাজনাথ বলেন,  এই হাউসের সব সদস্যের রাহুলের বক্তব্যের নিন্দা করা উচিত এবং তাঁর উচিত হাউসের সামনে ক্ষমা চাওয়া।


রাজনাথ সিংহ বলেন যে, রাহুল বিদেশের মাটিতে রাহুল বলছেন যে তাঁর হাউসের মাইক বন্ধ করে দেওয়া হয়, তবে তা মোটেও তা নয়। সে মিথ্যা ছড়াচ্ছে। রাহুলের বক্তব্য নিয়ে লোকসভায় তুমুল হট্টগোলের পর কার্যবিবরণী দুপুর ২টো পর্যন্ত মুলতবি করা হয়। 


এর পর রাজ্যসভায়  বিজেপি নেতা পীযূষ গোয়েল রাহুল গান্ধীর বক্তব্যের বিষয়টি তুলে ধরেন এবং কংগ্রেস নেতার কাছে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানান।


পীযূষ গোয়েল বলেন, অত্যন্ত লজ্জাজনকভাবে একজন বিরোধী নেতা বিদেশে গিয়ে ভারতের বিচার বিভাগ, সেনাবাহিনী, নির্বাচন কমিশন এবং সংসদকে অপমান করেছেন। তিনি সম্পূর্ণ ভুল অভিযোগ করেছেন। তাঁর উচিত সংসদে এসে দেশের মানুষের কাছে ক্ষমা চাওয়া।  জরুরি অবস্থার কথা উল্লেখ করে পীযূষ গোয়েল বলেন, বরং গণতন্ত্র তখন বিপদের সম্মুখীন হয়েছিল। 


গোয়েলের এই বক্তব্যের পর কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে জবাব দেন। খাড়গে বলেন, "যে এই কক্ষের সদস্য নন এমন কাউকে নিয়ে মন্তব্য করার নিন্দা করছি।"


রবিবার বিকেলে সর্বদলীয় বৈঠক করেন রাজ্যসভার অধ্যক্ষ জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhankar)। সেখানে গরহাজির ছিল তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। প্রায় সমস্ত বিরোধী দলের প্রতিনিধিরাই এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।  

অন্যদিকে, সোমবার সকালে স্ট্র্যাটেজি ঠিক করতে কংগ্রেসের ডাকা বৈঠকে ১৬ দল থাকলেও গরহাজির ছিল তৃণমূল। মল্লিকার্জুন খাড়গের ডাকা বৈঠকে হাজির ছিল সিপিএম, আরজেডি, জেডিইউ, উদ্ধবের শিবসেনা, এনসিপি সহ ১৬ দল
। অন্যদিকে সোমবারই অধিবেশন শুরুর আগে সংসদে রণকৌশল ঠিক করতে মন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রীও।অধিবেশন শুরুর আগে গাঁধী মূর্তির সামনে বিক্ষোভ দেখায় বিরোধীরা।