নয়াদিল্লি: আগামী বছরেই লোকসভা ভোট হওয়ার কথা। তার আগে সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে (Parliament Winter Session 2023,) বড় ঘোষণা বিজেপি সরকারের। জম্মু-কাশ্মীরের জন্য ২টি বিল আনল কেন্দ্রীয় সরকার।
একটি হল জম্মু কাশ্মীর রিজার্ভেশন (J&K Reservation) (অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল ২০২৩, অন্যটি জম্মু কাশ্মীরে রি অর্গানাইজেশন (অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল ২০২৩। এই ২টি বিল কাশ্মীরের মানুষের অধিকার ফিরিয়ে দেবে বলে জানিয়েছেন তিনি। কেন আনা হয়েছে এই বিল?
এদিন সংসদে অমিত শাহ (Amit Shah) জানান, কেন্দ্রশাসিত জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) জন্য এই বিল আনা হয়েছে। যাঁরা সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের জন্য কাশ্মীর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন, তাঁদের প্রতিনিধিত্বে আনার জন্য এই বিল আনা হয়েছে। তিনি বলেছেন, 'এর মধ্যে একটি বিল কাশ্মীর ছেড়ে চলে যাওয়া সম্প্রদায়ের মধ্য়ে থেকে প্রতিনিধিত্ব আনার জন্য। ২ জন প্রতিনিধি রাখা হবে, তার মধ্যে একজন মহিলা হবে।'
এদিন সংসদে (Parliament) বক্তব্য রাখার সময় কাশ্মীরি পণ্ডিতদের প্রসঙ্গও তুলেছেন শাহ। তাঁর দাবি, যদি প্রথম থেকেই ভোট-রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে সন্ত্রাসবাদকে মোকাবিলা করা হতো, তাহলে কাশ্মীরি পণ্ডিতদের উপত্যকা ছেড়ে যেতে হতো না। শাহের তোপ, '১৯৮০ সালের পর থেকে জম্মু কাশ্মীরে লাগামহীন সন্ত্রাস (Terrorism) চলেছে, যাঁরা ওই জায়গাটিকে নিজের দেশ ভাবতেন, তাঁদের তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, তাঁদের কথা কেউ ভাবেওনি।'
কাশ্মীরি পণ্ডিতদের (Kashmiri Pandit) নিজেদের দেশেই শরণার্থী হিসেবে থাকতে বাধ্য করা হয়েছে। এই বিল তাঁদের হৃত অধিকার ফিরিয়ে দেবে বলে দাবি করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তাঁর দাবি, 'আমি বিশ্বাস করি ২০২৪ সালে ক্ষমতা ফিরবে মোদি সরকার, ২০২৬ সালের মধ্যে জম্মু কাশ্মীরে আর কোনও সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ হবে না।'
৩৭০ ধারা (Article 370) তুলে নেওয়ার পরে জম্মু-কাশ্মীর এখন আর রাজ্য নয়। কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল। আলাদা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল লাদাখ। কেন্দ্রের তরফে আগেই বলা হয়েছিল, বিধানসভা ভোটের পরে রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়া হবে জম্মু ও কাশ্মীরে। তার আগে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ বিল মোদি সরকার পাশ করিয়ে নিতে পারে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। উপত্যকার বাসিন্দা বেশ কিছু জনগোষ্ঠীকেও বিশেষ মর্যাদা দিতে পারে কেন্দ্র।