আমেরিকান মহাকাশ সংস্থা নাসায় ( NASA )  চাকরি। মহাকাশকে ঘিরে জীবন গড়ে তোলা। এমন স্বপ্ন তো অনেকেরই। কিন্তু স্বপ্ন আর বাস্তবে ফারাক রয়ে যায় অনেকটাই। তবে কথা বলে না, মন থেকে কিছু চাইলে, দুনিয়া তার সহায় হয় ! 


এমনই স্বপ্ন দেখতেন ডঃ অক্ষতা কৃষ্ণমূর্তি (Rocket scientist Dr Akshata Krishnamurthy  ) । স্বপ্ন বাস্তব হয়। আর তার জন্য দরকার পরিশ্রম, একাগ্রতা আর সঠিক পথ চয়ন। সেটাই দেখয়েছেন তিনি। তিনিই প্রথম ভারতীয় মহিলা যিনি NASA-র মার্স রোভার মিশনে সাহায্য করেছিলেন।  জন্য প্রথম ভারতীয় মহিলা  Mars 2020 Perseverance mission নাসার মিশনের সঙ্গে বিশেষভাবে জড়িয়ে তাঁর অবদান। লাল গ্রহের খবর খুঁজে আনার মিশনে তাঁর ভূমিকা অসাধারণ। 


রকেট সায়েনটিস্ট অক্ষতা কীভাবে পৌঁছলেন মার্কিন মহাকাশ সংস্থায়? কীভাবেই বা সাফল্যের এই উচ্চতায় পৌঁছলেন ?  Instagram-এ তিনি তাঁর অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেন সম্প্রতি।  ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি থেকে অ্যারোনটিক্স এবং অ্যাস্ট্রোনটিক্সে পিএইচ.ডি. করেছেন তিনি । ডাঃ কৃষ্ণমূর্তি তারপর জেট প্রপালশন ল্যাবরেটরিতে যোগ দেন। এটি  একটি রিসার্চ ল্যাবরেটরি যা নাসার মালিকানাধীন। গবেষণাগারের ওয়েবসাইট অনুসারে , এটি মার্কিন নাগরিক এবং বিদেশী নাগরিক উভয়কেই নিয়োগ করে।


সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে একটি পোস্টে, অক্ষতা বলেন,  তিনি এক দশকেরও বেশি আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আসেন । পৃথিবী এবং মঙ্গল গ্রহে যুগান্তকারী বিজ্ঞান এবং রোবোটিক অপারেশনগুলিতে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তিনি। "আমি ১৩ বছরেরও বেশি আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এসেছিলাম নাসাতে কাজ করার জন্য । পৃথিবী ও মঙ্গল গ্রহে যুগান্তকারী বিজ্ঞান এবং রোবোটিক অপারেশন পরিচালনা করাই ছিল একমাত্র স্বপ্ন "। সবাই তাঁকে বলেছিল, যে মার্কিন ভিসায় থাকা একজন বিদেশী নাগরিকের পক্ষে এমন কীর্তি অর্জন করা সম্ভব নয়। সে সময়কার কথা বলতে গিয়ে অজ্ঞতা বলেন, "আমি যাদের সঙ্গেই দেখা করেছি তাঁদের প্রত্যেকেই আমাকে বলেছিল যে ভিসায় থাকা একজন বিদেশিন নাগরিক হিসাবে এটি অসম্ভব। আমার  একটি প্ল্যান বি থাকা উচিত নয়তো আমার ক্ষেত্রটি পুরোপুরি পরিবর্তন করা উচিত। আমি খুশি যে আমি কারও কথা শুনিনি। আমি অধ্যবসায় করে গিয়েছি, যতক্ষণ না আমি একটি উপায় খুঁজে পেয়েছি!" 


"MIT থেকে আমার পিএইচডি করা থেকে শুরু করে NASA-তে পূর্ণ-সময় নিয়োগের জন্য প্রায় ১০০ টা দরজায় কড়া নাড়া, কিছুই সহজ কাজ ছিল না।" ডঃ কৃষ্ণমূর্তি বলেন। 


পোস্ট শেষে তিনি বলেন,  "কোনও স্বপ্ন কখনও খুব বড় বা অসম্ভব নয়।" তিনি বললেন, "নিজের উপর বিশ্বাস রাখুন ... কাজ করতে থাকুন! আমি বলছি শুনুন, আপনি কঠোর পরিশ্রম করলে লক্ষ্যে পৌঁছাবেনই।"


বর্তমানে তিনি নাসার বিভিন্ন প্রোজেক্ট যেমন Arcsecond Space Telescope Enabling Research in Astrophysics, , Transiting Exoplanet Survey Satellite, NASA-ISRO Synthetic Aperture Radar র সঙ্গে যুক্ত । শেয়ার করার পর থেকে, তার পোস্টটি  লক্ষ লক্ষ রিয়্যাকশন পেয়েছে। অনেকেই বলেছেন, তাঁর মতো মানুষ অনেকের অনুপ্রেরণা।  





 



 




 







Education Loan Information:

Calculate Education Loan EMI