নয়া দিল্লি: লোকসভায় (Loksabha) পাস কৃষি আইন (Farm Law) প্রত্যাহার বিল। ধ্বনি ভোটে লোকসভায় পাস হল কৃষি আইন প্রত্যাহার বিল। এদিন আলোচনা ছাড়াই পাস হল কৃষি আইন প্রত্যাহার বিল। তুমুল হইচইয়ের মাঝেই সংসদের নিম্নকক্ষে কৃষি আইন প্রত্যাহার বিল পাশ হল। অন্যদিকে, বিরোধী সাংসদের স্লোগানের জেরে লোকসভা দুপুর ২টো পর্যন্ত মুলতবি হয়ে গেল। 


কেন্দ্র পিছু হঠলেও, কৃষি আইন প্রত্যাহার ঘিরেই উত্তপ্ত  সংসদের শীতকালীন অধিবেশন। আজ অধিবেশনের প্রথম দিনেই কেন্দ্রের তরফে কৃষি আইন প্রত্যাহার বিল পেশের সম্ভাবনা ছিল। বিল পেশ করেন কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর। এর আগেই আন্দোলনের জেরে মৃত কৃষকদের তালিকা তৈরি ও মৃতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবিতে লোকসভায় আলোচনা চেয়ে মুলতুবি প্রস্তাব আনে কংগ্রেস। পরিস্থিতির গুরুত্ব বিচার করে বিজেপি ও কংগ্রেসের তরফে হুইপ জারি করে লোকসভা ও রাজ্যসভার সাংসদদের উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছিল। অধিবেশন চলবে ২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত। 


এবার ৩০টি বিল পেশ করতে চলেছে কেন্দ্র। তার মধ্যে থাকছে বিদ্যুৎ, পেনশন, ব্যাঙ্কিং, বিভিন্ন আর্থিক সংস্কার সংক্রান্ত বিল। এরমধ্যে অনেকগুলি বিল নিয়েই আপত্তি রয়েছে বিরোধীদের। ফলে শীতকালীন অধিবেশনেও সংসদ উত্তাল হওয়ার সম্ভাবনা। তবে বিরোধীদের আক্রমণের প্রধান হাতিয়ার হতে চলেছে কৃষি আইনই। পাশাপাশি, পেট্রোপণ্য ও অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি, লখিমপুরকাণ্ডে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রপ্রতিমন্ত্রী অজয় মিশ্রের ইস্তফা-সহ একাধিক বিষয় নিয়ে সরব কংগ্রেস।


এদিকে, শীতকালীন অধিবেশন শুরুর আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছিলেন, সরকার সব প্রশ্নের উত্তর দিতে তৈরি। আলোচনা হোক কিন্তু শান্তি যেন বজায় থাকে। 


 







এদিকে,কৃষকদের বিভিন্ন দাবি -দাওয়া নিয়ে অধিবেশন শুরুর আগে সংসদ ভবনে দলীয় সাংসদদের সঙ্গে ধর্নায় যোগ দিয়েছিলেন সনিয়া গাঁধী ও রাহুল গাঁধী। তার আগে রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাগড়ের নেতৃত্বে বৈঠকে বসে ১১টি বিরোধীদল। তৃণমূল এড়ালেও, কংগ্রেসের ডাকা বৈঠকে যোগ দেয় সিপিএম, সিপিআই, আরএসপি, ডিএমকে, এনসিপি, আরজেডি।