নিউ দিল্লি : তথ্যপ্রযুক্তি সংক্রান্ত নতুন আইন নিয়ে টানাপোড়েন চলছে কেন্দ্র ও ট্যুইটার কর্তৃপক্ষের মধ্যে। এরই মধ্যে ট্যুইটারকে ডেকে পাঠাল সংসদীয় স্ট্যান্ডিং কমিটি।  


আগামী ১৮ জুন বিকাল ৪টা নাগাদ পার্লামেন্ট কমপ্লেক্সে ডেকে পাঠানো হয়েছে ট্যুইটার কর্তৃপক্ষকে। সোশ্যাল মিডিয়া ও অনলাইন নিউজের অপব্যবহার কীভাবে রোখা যায় তা নিয়ে জানতে চাওয়া হবে এই সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের প্রতিনিধিদের।


সম্প্রতি কেন্দ্রের তরফে ট্যুইটারকে ফাইনাল নোটিস দিয়ে নতুন তথ্যপ্রযুক্তি নিয়ম-কানুন মেনে চলার কথা বলা হয়েছে। বৈদ্যুতিন ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রকের সাইবার আইন সংক্রান্ত গ্রুপ কো-অর্ডিনেটর রাকেশ মহেশ্বরী ট্যুইটারকে পাঠানো এক চিঠিতে লিখেছেন, মন্ত্রকের তরফে বারবার চিঠি পাঠানো সত্ত্বেও এটা দেখা গিয়েছে যে, ট্যুইটার যথেষ্ঠ ব্যাখ্যা দিতে পারছে না। 


এদিকে মন্ত্রকের তরফে বারবার চিঠি পাঠানোর পর, ট্যুইটার নিশ্চিত করেছে যে, নতুন নিয়ম মেনে চলবে তারা।


ট্যুইটারের এক মুখপাত্র বলেন, ভারতে যাতে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা সম্ভব হয় সে বিষয়ে ট্যুইটার কর্তৃপক্ষ অঙ্গীকারবদ্ধ। আমরা ভারত সরকারকে আশ্বাস দিয়েছি যে, নতুন গাইডলাইন মেনে চলার চেষ্টা করছে ট্যুইটার। আমরা ভারত সরকারের সঙ্গে গঠনমূলক আলোচনা চালিয়ে যাবে। 


এদিকে সংসদীয় প্যানেলের সদস্যরা সংবাদ সংস্থা ANI-কে জানিয়েছেন, ট্যুইটার কী কারণে দেশের নতুন আইটি নিয়ম মেনে চলছ না তা জানতে চাওয়া হবে।


নতুন আইটি নিয়ম অনুযায়ী, ট্যুইটার, ইনস্টাগ্রাম, ফেসবুক ও হোয়াটসঅ্যাপের মতো সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং ও ইন্সট্যান্ট মেসেজিং প্ল্যাটফর্মগুলিকে চিফ কমপ্ল্যায়েন্স অফিসার, নোডাল কনট্যাক্ট পার্সন ও গ্রিভ্যান্স অফিসার নিয়োগ করতে হবে। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রের বিজ্ঞপ্তির মুখে পড়েছে ট্যুইটার। উল্লেখ্য, ভারতে দীর্ঘদিন ধরে কৃষক আন্দোলন চলছে। কিন্তু, এনিয়ে সমালোচনা বন্ধ করতে চাইছে মোদি সরকার। এই জাতীয় অভিযোগ তুলে যে সব পোস্ট টুইটারে রয়েছে তা ব্লক করে দিতে বলে প্রযুক্তি মন্ত্রক। মন্ত্রকের তরফে একথা বলার পরই গত ফেব্রুয়ারি মাস থেকে ভারত সরকার ও ট্যুইটার কর্তৃপক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছে।