কোটা: বয়স মাত্র ৪০।  করোনার লক্ষণ নিয়ে ভর্তি ছিলেন হাসপাতালে। কিন্তু মৃত্যু হল ভেন্টিলেটর বন্ধ হয়ে যাওয়ার জন্য। কীভাবে বন্ধ হল ভেন্টিলেটর?
হাসপাতাল সূত্রের খবর, কুলারের হাওয়া খাওয়ার জন্য ভেন্টিলেটরের প্লাগ খুলে দেন রোগীকে দেখতে আসা বাড়ির লোকেরাই।
১৩ জুন থেকে কোটার মহারাও ভীম সিংহ হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন ওই রোগী। করোনা আক্রান্ত সন্দেহে তাঁর চিকিৎসা চলছিল। পরে অবশ্য জানা যায়, তাঁর করোনা হয়নি। তিনি প্রথমে আইসিইউতে ছিলেন। পরে তাঁকে আইসোলেশন ওয়ার্ডে পাঠানো হয়।
অভিযোগ, সেখানে প্রচণ্ড গরম থাকায়, রোগীর আত্মীয়রা একটি এয়ার কুলার কিনে আনেন। সেটি চালু করতে, সম্ভবত ভুল করেই, ভেন্টিলেটরের প্লাগ খুলে দেন তাঁরা। তার প্রায় আধঘণ্টা পর বন্ধ হয়ে যায় সাপোর্ট। সঙ্গে সঙ্গে ছুটে আসেন ডাক্তার-নার্সরা। কিন্তু ততক্ষণে সব শেষ!
হাসপাতাল কর্মীদের দাবি, কুলার চালু করার কোনও অনুমতি রোগীর বাড়ির লোক নেননি। উল্টে তাঁদের সঙ্গে যথেষ্ট খারাপ ব্যবহার করেন তাঁরা।
এখনও পর্যন্ত কী উঠে এল তদন্ত কমিটির রিপোর্টে, তা অবশ্য জানা যায়নি।
এভাবে রোগী মৃত্যুতে নড়েচড়ে বসেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসন। ঘটনার তদন্তের জন্য একটি তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি ইতিমধ্যেই অনেককে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে।