নয়া দিল্লি : আরও বাড়ছে পেগাসাস আঁচ। এই ইস্যুতে এবার কেন্দ্রীয় তথ্য ও প্রযুক্তি এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে জি়জ্ঞাসাবাদ করবে সংসদীয় স্ট্যান্ডিং কমিটি। যার নেতৃত্বে রয়েছেন কংগ্রেস সাংসদ শশী তারুর।
পেগাসাস বিতর্কে দেশ ও বিদেশের হাজার হাজার মানুষের কথোপকথনে আড়ি পাতার অভিযোগ উঠেছে। ইজরায়েলি পেগাসাস সফ্টওয়্যারের মাধ্যমে অনেক সাংবাদিক ও রাজনীতিকের ফোন হ্যাক করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। এর পরিপ্রেক্ষিতে শশী তারুর নেতৃত্বাধীন তথ্যপ্রযুক্তি সংক্রান্ত সংসদীয় স্ট্যান্ডিং কমিটি 'সিটিজেন ডেটা সিকিউরিটি অ্যান্ড প্রাইভেসি' বিষয়ক একটি বৈঠক করবে। কমিটির তরফে বৈদ্যুতিন ও তথ্যপ্রযুক্তি, স্বরাষ্ট্র ও যোগাযোগ মন্ত্রকের প্রতিনিধিদের ডেকে পাঠানো হবে। আড়ি পাতার অভিযোগের বিষয়ে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
এই প্রথম ইজরায়েলি স্পাইওয়্যার ইস্যু তুলছে না প্যানেল। ২০১৯ সালে যখন হোয়াটসঅ্যাপের দুর্বলতা প্রকাশ পায়, সেই সময়ই এই প্যানেল সংশ্লিষ্ট দফতরের কাছে এবিষয়ে শুনেছিল। প্রসঙ্গত, টানা দুই দিন পেগাসাস আঁচ পড়েছে সংসদে। বিরোধাদের তরফে দাবি তোলা হয়েছে যে, যখন এটা স্পষ্ট যে ইজরায়েলি সংস্থা এই সফ্টওয়্যার শুধুমাত্র সরকারকে বেচে, তখন বিষয়টি ভারত সরকারকেই খোলসা করতে হবে।
প্রসঙ্গত, পেগাসাস স্পাইওয়্যার বিতর্কে বিস্ফোরক দাবি করেছে 'দ্য ওয়্যার'। তাদের তরফে বলা হয়েছে, হ্যাক করা হয়েছিল তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোরের ফোন। এর পাশাপাশি রাহুল গাঁধীর দুটি ফোন নম্বরকেও টার্গেট করা হয়েছিল বলে খবর। টার্গেট ছিল রাহুলের কিছু সহযোগী, বন্ধুর ফোন নম্বরও। শুধু তাই নয়, ইজারায়েলি স্পাইওয়্যারের টার্গেট তালিকায় নাম কেন্দ্রের নতুন তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণেরও। এছাড়াও আরও এক কেন্দ্রীয়মন্ত্রী পেগাসাস টার্গেটে ছিলেন বলে দাবি 'দ্য ওয়্যার'-এর। তিনি হলেন প্রহ্লাদ প্যাটেল। লিক হওয়া লিস্টে শুধু তাঁর বা তাঁর স্ত্রীর ফোন নম্বরই ছিল না। মন্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্কিত আরও ১৫ জনের ফোন নম্বর ছিল সেই তালিকায়। এর মধ্যে রয়েছেন তাঁর রাঁধুনি এবং মালিও।
যদিও এবিষয়ে যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছে কেন্দ্রীয় সরকার।