মুম্বই: লকডাউনে কত কিছুই না চলছে! নোভেল করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে চালু হওয়া লকডাউনের বিধিনিষেধের জেরে কাজ হারানো পরিযায়ী শ্রমিকরা যখন নিজেদের রাজ্যে ফিরতে কয়েকশো, এমনকী কিছু ক্ষেত্রে কয়েক হাজার কিমি রাস্তা হাঁটতে বাধ্য হয়েছেন, তখন বেঙ্গালুরুর জন্তুজানোয়ার রাখার আশ্রয়স্থলে রেখে যাওয়া পোষ্য সারমেয়কে মুম্বই নিয়ে আসার জন্য আস্ত একটা চার্টার্ড ফ্লাইট ভাড়া করেছেন এক শিল্পপতি! রাউন্ড ট্রিপ অর্থাত্ মুম্বই-বেঙ্গালুরু আবার বেঙ্গালুরু-মুম্বই মেরেছে ওই ফ্লাইট।
খবরে প্রকাশ, গত ৪ জুন তাঁর পরিবারের তিন সদস্য সারমেয়টিকে নিয়ে আসার জন্য ওই প্রাইভেট উড়ানে বেলা দেড়টা নাগাদ বেঙ্গালুরুর কেম্পেগৌড়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামেন, প্রায় দুঘন্টা কাটিয়ে আবার বেঙ্গালুরু থেকে সারমেয়কে সঙ্গে নিয়ে ওই ফ্লাইটে মুম্বই ফেরেন। অল্প সময়ের জন্য রাজ্য়ে এলে কোভিড-১৯ নেগেটিভ টেস্টের রিপোর্ট দেখানো বাধ্যতামূলক করেছে কর্নাটক সরকার। সেইমতো শিল্পপতির পরিবারটিও রিপোর্ট সঙ্গে নিয়েই গিয়েছিল। কিন্তু সম্ভবত, তাঁরা যে বেসরকারি ল্যাবের দেওয়া রিপোর্ট বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে দেখান, সেটি ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিকেল রিসার্চের (আইসিএমআর) অনুমোদিত ল্যাবের তালিকা নেই। ফলে রিপোর্টটি গ্রাহ্য হবে কিনা, তা নিয়ে প্রাথমিক ভাবে বিভ্রান্তি হয়। যদিও শেষ পর্যন্ত তিনজনকে বিমানবন্দর থেকে বেরনোর অনুমতি দেওয়া হয়। তাঁরা সারমেয়কে আশ্রয়স্থল থেকে নিয়ে ফিরে আবার মুম্বইয়ের ফ্লাইট ধরেন।
এ ব্যাপারে যাবতীয় প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পেশ করা হয়েছে, নিয়ম মেনেই ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে বলে একটি সরকারি সূত্রের বক্তব্য। তারা বলেছে, আমরা ওঁদের প্রয়োজনীয় তল্লাশি, পরীক্ষা করেছি, বাকি আর সব যাত্রীর মতোই সমান চোখে দেখা হয়েছে, কোনও ভিআইপি মর্যাদা দেওয়া হয়নি। ওঁদের এই সফর কী কারণে, তা নিয়ে আমাদের মাথাব্যথা নেই।